টোঙ্ক জেলায় দেওলি-উনিয়ারা উপনির্বাচনের সময় সংঘটিত হিংসার পর নির্দল প্রার্থী নরেশ মীণাকে ১৪ দিনের জন্য ন্যায়িক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এসডিএম-কে চড় মারার ঘটনায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
রাজস্থান নিউজ: রাজস্থানের দেওলি-উনিয়ারা বিধানসভা উপনির্বাচনের সময় এসডিএম-কে চড় মারা নির্দল প্রার্থী নরেশ মীণাকে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ১৪ দিনের জন্য ন্যায়িক হেফাজতে পাঠানো হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে আদালত ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে হাজিরার নির্দেশ দিলে, তাকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়।
টোঙ্কে হিংসার পর পরিস্থিতি স্থির
নরেশ মীণাকে গ্রেফতার করার পর টোঙ্ক জেলায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। হিংসার পর, একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে এসডিএম অমিত চৌধুরীকে চড় মারার ঘটনা ঘটে, যার ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর বৃহস্পতিবার ভিড় একজন মিডিয়াকর্মী ও ক্যামেরাম্যানের উপর হামলা চালায় এবং তাদের ক্যামেরা পুড়িয়ে দেয়।
এসডিএম-এর উপর হামলার পর পুলিশ হস্তক্ষেপ করে
টোঙ্কের জেলাশাসক সৌম্যা ঝা জানান, ১৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণের সময় নরেশ মীণা নির্বাচনী কর্মকর্তা এসডিএম-কে চড় মেরেছিলেন। তবে ভোটগ্রহণের দিন কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, কারণ ভোটগ্রহণের পরিবেশ বজায় রাখা প্রয়োজন ছিল। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর পুলিশ হস্তক্ষেপ করে, কিন্তু প্রার্থী পুলিশের সাথেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মীণার সমর্থকদের দ্বারা পথর ছোড়া
নরেশ মীণার সমর্থকরা পুলিশের উপর পথর ছুড়ে মারে এবং একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনা তখন ঘটে যখন পুলিশ মীণা ও তার সমর্থকদের ধর্ণাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সমর্থকরা প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রতিবাদ করে এবং তাদের দাবি তুলে ধরে।
প্রশাসন নিরাপত্তা বাড়িয়েছে
জেলাশাসক সৌম্যা ঝা বলেন, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এবং পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করেছে। সকল প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন এখন কোনও ধরনের অতিরিক্ত উত্তেজনা রোধ করার জন্য প্রস্তুত।
