শ্রীলঙ্কার প্রবল বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও বন্যার ফলে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা: শ্রীলঙ্কায় প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বন্যার কারণে সোমবার রাজধানী কলম্বো ও তার আশেপাশের এলাকার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের মতে, সপ্তাহান্তে হওয়া মুষলধার বৃষ্টিপাত দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। বাড়ি, ক্ষেত ও রাস্তাঘাট সব জায়গাই জলমগ্ন হয়ে গেছে। এই বন্যায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, এবং প্রায় এক লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন
শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত ও বন্যার ফলে ২৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় সাত হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য, খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার জন্য নৌবাহিনীসহ সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কলম্বোর আশেপাশের এলাকায় বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। কিছু এলাকায় পানি সরাসরি বাড়ি ও দোকানের ছাদ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। মে মাস থেকেই শ্রীলঙ্কায় মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে পরিস্থিতি বিরূপ হচ্ছে। জুন মাসে এখানে বন্যা ও ভূমিধ্বসের ফলে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২১ সালেও দেখা গিয়েছিল এমন দৃশ্য
২০২১ সালেও এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। এটি প্রথমবার নয় যখন শ্রীলঙ্কায় বন্যার ভয়াবহ রূপ দেখা গেছে। এর আগে ২০২১ সালেও প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে এ ধরণের সংকট তৈরি হয়েছিল। তখন অনেক মানুষের বাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে গিয়েছিল। সে সময় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল। সে সময়ও বন্যায় অত্যাধিক ক্ষতি হয়েছিল।