কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ইমারজেন্সি’ ছবির বিরোধিতা করেছে শ্রোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি), এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ছবিটি শিখদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করছে।
পাঞ্জাব: বিজেপি সাংসদ এবং বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ইমারজেন্সি’ ছবি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই ছবিটি ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাবে, কিন্তু মুক্তির আগেই এর বিরোধিতা শুরু হয়েছে। ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষিত জরুরি অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই ছবি নির্মিত। শিখ সম্প্রদায়ের চিত্রায়নকে কেন্দ্র করেই এই ছবি বিতর্কের মুখে পড়েছে।
শ্রোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির বিরোধিতা
শ্রোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি) এই ছবির বিরোধিতা করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে একটি চিঠি লিখেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ইমারজেন্সি’ ছবি শিখদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করছে এবং ইতিহাসকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। শ্রোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি ১৭ জানুয়ারি পাঞ্জাবে এই ছবির মুক্তি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
শ্রোমণি কমিটির সতর্কতা
শ্রোমণি কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট হরজিৎ সিং ধামি মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে এই ছবির মুক্তি নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এই ছবি মুক্তি পেলে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ও রাগ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এটি নিষিদ্ধ করা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। এছাড়াও, শ্রোমণি কমিটি পাঞ্জাবের সকল উপায়ুক্তকেও আবেদনপত্র পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ
ভারতে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সময়, বাংলাদেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এই ছবি প্রদর্শিত হবে না। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ছবির মুক্তি নিষিদ্ধ হওয়াকে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ছবির বিষয়বস্তু
কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘ইমারজেন্সি’ ছবি ১৯৭৫ সালে ভারতে চালু হওয়া জরুরি অবস্থার উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বিবেচনা করে চালু করেছিলেন। ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত নিজেই এবং সেই সময়ের সংঘর্ষ ও ঘটনাবলী চিত্রিত হয়েছে।