শিবসেনা (উদ্দব) নেতা রাজন সালাভীর সদস্যপদ ত্যাগ ও একনাথ শিন্ডে-পন্থী দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত। কঙ্কণ অঞ্চলে সালাভীর সমর্থকদের ব্যাপক সংখ্যা, উদ্ধব-পন্থীদের ব্যাপক ক্ষতি।
মহারাষ্ট্র রাজনীতি: শিবসেনা (উদ্দব) প্রধান উদ্ধব ঠাকুরের ১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বড় ধাক্কা লেগেছে। দলের প্রভাবশালী নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক রাজন সালাভী শিবসেনা (উদ্দব) থেকে পদত্যাগ করেছেন। সালাভী, যিনি আগে উদ্ধব ঠাকুরের অনন্য সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এখন একনাথ শিন্ডের শিবসেনায় যোগদান করবেন। এই ঘটনার পর, প্রশ্ন উঠছে যে কি উদ্ধব-পন্থীদের মধ্যে পালিয়ে যাওয়ার ধারা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে যখন শিন্ডে-পন্থী নেতারা সম্প্রতি দাবি করেছিলেন যে উদ্ধব-পন্থী অনেক নেতা তাদের সংস্পর্শে আছেন।
রাজন সালাভীর শিন্ডে-পন্থী দলে যোগদান
রাজন সালাভী ১৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার একনাথ শিন্ডের উপস্থিতিতে শিবসেনায় যোগদান করবেন। সালাভী রত্নগিরি জেলায় শিবসেনার প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং কঙ্কণের অনেক অঞ্চলে তার শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। লাঞ্জা, রাজাপুর এবং সখারপা অঞ্চলে তার অসংখ্য সমর্থক রয়েছে, যারা তার পদত্যাগের পর প্রভাবিত হতে পারে।
কেন রাজন সালাভীকে আঘাত?
রাজন সালাভীর পদত্যাগের প্রধান কারণ শিবসেনা (উদ্দব)-তে সম্প্রতি বিনায়ক রাউতের সাথে হওয়া বিবাদ বলে মনে করা হচ্ছে। যখন উদ্ধব ঠাকুর রাউতের সমর্থন করেছিলেন, তখন সালাভী এই সিদ্ধান্তে আহত হন এবং দল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে কঙ্কণ অঞ্চলে উদ্ধব ঠাকুর-পন্থীদের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে, কারণ সালাভীর প্রভাব এই অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়
২০২৪ সালে, রাজন সালাভী মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন। তাকে একনাথ শিন্ডে-পন্থী নেতা কিরণ সামন্ত পরাজিত করেন। এই পরাজয় সালাভীর জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল, এবং এটি তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এদিকে, সালাভীর দলে ফিরে আসার বিষয়ে কিরণ সামন্ত ক্ষুব্ধ, কারণ তিনি মন্ত্রী উদয় সামন্তের ভাই।
রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অপারেশন টাইগার
রাজন সালাভীর পদত্যাগের পর মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। শিন্ডে-পন্থী নেতারা দাবি করেছেন যে তারা উদ্ধব-পন্থী অনেক সংসদ সদস্য ও বিধায়কের সাথে যোগাযোগ করছে। এই পরিস্থিতিতে সালাভীর পদত্যাগ রাজনৈতিক সমীকরণ আরও জটিল করে তুলতে পারে, বিশেষ করে যখন অপারেশন টাইগারের আলোচনা তীব্র হচ্ছে।