বিধায়ক বসবরাজু ভি শিবগঙ্গার দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যে ডি.কে. শিবকুমার হবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন জিতে ৭.৫ বছর ক্ষমতায় থাকবে।
কর্ণাটক রাজনীতি: কর্ণাটকে কংগ্রেসের শাসক সরকারে নেতৃত্ব পরিবর্তনের আলোচনা থামার নাম নিচ্ছে না। উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতারা দাবি করেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কর্ণাটকের কান্ডারী ডি.কে. শিবকুমার হতে পারেন। এই দাবির পর রাজ্যের রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেছে।
বিধায়ক বসবরাজু ভি শিবগঙ্গার বড় দাবি
কংগ্রেস বিধায়ক বসবরাজু ভি শিবগঙ্গা রবিবার দাবি করেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ডি.কে. শিবকুমার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেছেন, "আপনারা যদি চান, তাহলে আমি রক্তে লিখেও দিতে পারি যে ডিসেম্বরের মধ্যে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।"
শিবগঙ্গা জোর দিয়ে বলেছেন, শিবকুমার ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী ৭.৫ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন, কারণ কংগ্রেস এখানে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনও জিততে চলেছে। তিনি কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের বলেছেন, "আপনারা এটা লিখে নিন, এটা নিশ্চিত যে ডিসেম্বরের মধ্যে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।"
বীরপ্পা মইলীরও সমর্থন
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা বীরপ্পা মইলিও ডি.কে. শিবকুমারের সমর্থনে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী হতে কেউ আটকাতে পারবে না, কারণ এটা আগেই ঠিক হয়ে গেছে। মইলি আরও বলেছেন, "এটা শুধু সময়ের ব্যাপার, শিবকুমারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত।"
কর্ণাটকে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা
কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কংগ্রেস যখন রাজ্যে সরকার গঠন করেছিল, তখন সিদ্ধারময়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল, কিন্তু ডি.কে. শিবকুমারও এই পদের শক্তিশালী দাবীদার ছিলেন। তখন আলোচনা হয়েছিল যে সরকারের कार्यकालের মাঝামাঝি সत्ता পরিবর্তন হবে এবং শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়া হবে। এখন ডিসেম্বর উন্নত হওয়ার সাথে সাথে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে।
কংগ্রেসে কি আবারও দ্বন্দ্ব বাড়বে?
এই বক্তব্যের পর কর্ণাটক কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। যেখানে একদিকে ডি.কে. শিবকুমারের সমর্থকরা তাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি করছেন, অন্যদিকে সিদ্ধারময়ার সমর্থকদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। এখন দেখার বিষয় কংগ্রেস হাইকমান্ড এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং কি সত্যিই ডিসেম্বরে কর্ণাটক নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে?