রামনবমীতে বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপ, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে বিশাল রামমন্দির নির্মাণের ঘোষণা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত।
পশ্চিমবঙ্গ: পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার এমন ধর্মের পালন করছে যা স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম নয়। তারা কি দাঙ্গা ভাবছেন? ঈদ সম্প্রতি হয়ে গেছে, এবার রামনবমী আসছে। আমি চাই এটি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হোক।" তিনি আরও বলেন, "আমরা বিবেকানন্দ ও বেদের অনুসরণ করব, জুমলা পার্টির নয়।"
শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা আক্রমণ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আহ্বানের পরে বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর উপর তীব্র আক্রমণ চালান। তিনি বলেন, "বাংলায় কিছুই হবে না, রামনবমীর সময় হিন্দু সমাজ রাস্তায় নামবে।" তিনি অভিযোগ করেন যে গত বছর রামনবমীর শোভাযাত্রায় আক্রমণ হয়েছিল, যা রোধ করতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছিল। অধিকারী বলেন, "হিন্দু সমাজ দাঙ্গা করে না, কিন্তু এবার প্রতিটি হিন্দু ঘর থেকে বেরিয়ে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি দিবে। প্রতিটি গাড়িতে ভগবাদ্বজ উড়বে।"
নন্দীগ্রামে নির্মিত হবে বিশাল রামমন্দির
শুভেন্দু অধিকারী রামনবমীর দিন নন্দীগ্রামে বিশাল রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই মন্দির অযোধ্যার রামমন্দিরের আদলে নির্মিত হবে এবং এর জন্য প্রায় দেড় একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, "নন্দীগ্রামের রামমন্দির বাংলার সবচেয়ে বড় রামমন্দির হবে এবং এটি রাজ্যের হিন্দু সমাজের ভক্তির প্রতীক হয়ে উঠবে।"
বাংলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা
পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছর হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে উভয় দলের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলছে। রামনবমীর আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
