রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী সোনম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে। সে দুটি পরিকল্পনা করেছিল, যার মধ্যে একটি ছিল সেলফির বहाনায় হত্যার ষড়যন্ত্র।
Raja Raghuwanshi Murder Case: রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তে জানা গেছে, এই হত্যার ষড়যন্ত্র তার স্ত্রী সোনম রঘুবংশীই করেছিল। পুলিশের মতে, সোনম এক নয়, বরং দুটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। যদি তার সহযোগীরা হত্যা চালানোতে ব্যর্থ হতো, তাহলে সে নিজেই ‘সেলফি’র বहाনায় স্বামীকে খাদের ভেতরে ঠেলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে চারজন আসামীই হত্যার কথা স্বীকার করেছে
ইন্দোর পুলিশ এবং শিলং পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় যাদের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা জিজ্ঞাসাবাদে রাজার হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, হত্যার পর লাশ শিলংয়ের একটি খাদে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ইন্দোর ক্রাইম ব্রাঞ্চও এই কথা নিশ্চিত করেছে।
ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত বিয়ের আগেই
এসিপি পুনমচন্দ যাদব জানিয়েছেন, এই হত্যার পরিকল্পনা রাজা এবং সোনমের বিয়ের আগেই করা হয়েছিল। মাস্টারমাইন্ড রাজ কুশওয়াহার নেতৃত্বে সব আসামী আগেই শিলং পৌঁছে গিয়েছিল। সেখানে তারা মিলে হত্যার পরিকল্পনার চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিল।
হানিমুন ট্রিপের সময় ঘটেছে ঘটনা
রাজা এবং সোনম তাদের হানিমুনের জন্য শিলং গিয়েছিল, এবং সেখানেই এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র সম্পন্ন হয়েছিল। বিশাল নামের আসামী হত্যার সূচনা করে এবং প্রথমে রাজার উপর আক্রমণ করে। এর পর বাকি আসামীরা মিলে রাজাকে হত্যা করে।
রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার, ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে
পুলিশ বিশালের বাড়ি থেকে কিছু কাপড় জব্দ করেছে, যার উপর রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে এই রক্ত কার। এর জন্য ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
রাজ কুশওয়াহার হওয়ালা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার আশঙ্কা
জিজ্ঞাসাবাদে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আসামী রাজ কুশওয়াহার মোবাইল ফোন থেকে ১০ টাকার অনেক নোটের সিরিয়াল নম্বরের তথ্য পাওয়া গেছে, যা থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে সে হওয়ালা ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকতে পারে। এই দিক থেকেও পুলিশ তদন্ত করছে।
সমগ্র ঘটনায় সোনম রঘুবংশীর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড ছিল এবং সে প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিল। যদি সহযোগীরা ব্যর্থ হতো, তাহলে সে সেলফি তুলতে গিয়ে রাজাকে খাদে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
দিল্লি হয়ে শিলং যাবে পুলিশ দল
মেঘালয় পুলিশ এখন আসামীদের নিয়ে দিল্লি রওনা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের গুয়াহাটি হয়ে শিলং নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে আরও তদন্ত করা হবে। যখন জিজ্ঞাসা করা হল সোনম কি হত্যার পর ইন্দোর এসেছিল, তখন এসিপি পুনমচন্দ যাদব বলেছেন এখনও এ ব্যাপারে কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। যদি শিলং পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও তথ্য আসে, তাহলে ইন্দোর পুলিশ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে।