রাহুল গান্ধী ৬ জুন বিহারের রাজগীরের একটি অতি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সম্মেলনে বক্তৃতা দেবেন। এই সফর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। এ বছর রাহুল গান্ধীর এটি পঞ্চম বিহার সফর।
Rahul Gandhi Bihar Visit: কংগ্রেসের প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি এবং লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আবারও বিহার সফরে আসছেন। ৬ জুন তিনি বিহারের নালন্দা জেলার রাজগীরের একটি অতি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সম্মেলনে যোগ দেবেন। এ বছর রাহুল গান্ধীর এটি পঞ্চম বিহার সফর। এর আগে তিনি জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী, এপ্রিল এবং মে মাসেও বিহার সফর করেছিলেন। রাহুল গান্ধীর এই ধারাবাহিক সফরকে এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির সাথে যুক্ত করে দেখা হচ্ছে।
৬ জুন অতি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন রাহুল গান্ধী
কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, ৬ জুন রাহুল গান্ধী বিহারের রাজগীরের একটি অতি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সম্মেলনে বক্তৃতা দেবেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব করছে, যেখানে নালন্দা এবং আশেপাশের জেলাগুলির অতি পিছিয়ে পড়া এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে।
কংগ্রেস দলের মত, বিহার নির্বাচনে এই শ্রেণীর মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। তাই এই শ্রেণীর মানুষদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য দল বিশেষ করে এই সম্মেলনের পরিকল্পনা করেছে। এর আগে এই সম্মেলনটি ২৭ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু কারণে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়। এখন ৬ জুন এই অনুষ্ঠান হবে, যেখানে রাহুল গান্ধী প্রধান বক্তা হবেন।
এ বছর পঞ্চমবারের মতো বিহার সফরে রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধীর বিহার সফরের কথা বললে, ২০২৪ সালে এটি তাঁর পঞ্চম সফর। জানুয়ারী মাসে তিনি প্রথমবারের মতো বিহারে আসেন, এর পর ফেব্রুয়ারী, এপ্রিল এবং মে মাসে তিনি বিহার সফর করেন। মে মাসে রাহুল গান্ধী দারভঙ্গা গিয়েছিলেন, যেখানে তাঁর কর্মসূচী নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল।
এই সকল সফরের উদ্দেশ্য হলো কংগ্রেসকে স্থানীয় পর্যায়ে শক্তিশালী করা এবং কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ জোগানো। কংগ্রেসের মত, বিহারে দলের অবস্থা উন্নত করার জন্য রাহুল গান্ধীর সক্রিয় থাকা অত্যন্ত জরুরী।
দারভঙ্গা সফরে রাহুল গান্ধীকে বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়েছিল
রাহুল গান্ধীর পূর্ববর্তী বিহার সফরের সময় দারভঙ্গায় আয়োজিত অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। আসলে, সেই অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি, যার ফলে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকী দায়ের করা হয়েছিল।
এই বিতর্ক সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী তাঁর সফরকে সফল করার চেষ্টা করেছিলেন এবং কর্মীদের সাথে আলোচনা করেছিলেন। এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে রাহুল গান্ধী বিহারের রাজনীতি নিয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বিহার নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের প্রস্তুতি জোরেশোরে
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস আবারও নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। দল রাজ্যের প্রতিটি জেলা, ব্লক এবং পঞ্চায়েত পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছে। রাহুল গান্ধীর সফর এই রণনীতিরই অংশ।
কংগ্রেস নেতাদের মত, রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কর্মীদের উৎসাহ বৃদ্ধি পায় এবং দলের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোতে সাহায্য করে। দল এই নির্বাচনে বড় জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। তবে কংগ্রেস কতগুলি আসনে নির্বাচন করবে, তা মহাজোটের বৈঠকের পরে ঠিক করা হবে।
মহাজোটের আওতায় কংগ্রেসের রণনীতি
বিহারে কংগ্রেস মহাজোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এতে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD), বামপন্থী দল এবং আরও কিছু ছোট দল রয়েছে। মহাজোটের আওতায় আসন বণ্টন এবং নির্বাচনী রণনীতি তৈরির বিষয়ে আলোচনা চলছে। কংগ্রেস আশা করছে, মহাজোটের সাথে মিলে তারা বিহারে উন্নত ফলাফল করতে পারবে।