অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে আসা এক অবিশ্বাস্য সংবাদ দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে তীব্রভাবে নাড়া দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ATS অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির একজন জুনিয়র ওয়ার্কস ম্যানেজার কুমার বিকাশকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-র জন্য গোপনীয় তথ্য ফাঁস করছিলেন।
কানপুর: অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মচারী কুমার বিকাশকে উত্তরপ্রদেশের ATS পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-র জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ‘নেহা শর্মা’ নামের একজন পাকিস্তানি এজেন্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের পর বিকাশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির গোপনীয় তথ্য শেয়ার করেছিলেন। WhatsApp এবং লুডো অ্যাপের মাধ্যমে গোপনীয় তথ্য পাঠানো হয়েছিল, যার মধ্যে কর্মীদের উপস্থিতির তালিকা, উৎপাদন চার্ট এবং মেশিনের বিন্যাস অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই ঘটনার সাথে জড়িত আরেকজন কর্মচারীকে ATS এর আগে ফিরোজাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারপরই বিকাশের নাম উঠে আসে। বর্তমানে অভিযুক্তের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এই ষড়যন্ত্রে আর কতজন জড়িত।
ফেসবুক বন্ধুত্ব, লুডো থেকে দেশদ্রোহ
কথিত আছে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধুত্ব গড়ার মাধ্যম, কিন্তু কুমার বিকাশের ক্ষেত্রে এটি দেশদ্রোহের পথ হয়ে উঠেছে। জানুয়ারী ২০২৫ সালে ‘নেহা শর্মা’ নামের একজন পাকিস্তানি এজেন্ট ফেসবুকে বিকাশের সাথে বন্ধুত্ব করে। নিজেকে BHEL-এর কর্মচারী বলে পরিচয় দেওয়া নেহা বিকাশকে এত চালাকি দিয়ে ফাঁদে ফেলে যে WhatsApp-এ আলাপ এবং পরে গোপন আলাপের জন্য লুডো গেম ব্যবহার করে।
টাকার লোভে বিক্রি হলো দেশ
যেখানে দেশপ্রেমের অর্থ অনেকের কাছে ত্যাগ, সেখানে বিকাশের কাছে এটি মাত্র টাকার খেলা হয়ে উঠেছে। ISI-র জন্য অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির গোপনীয় তথ্য, কর্মচারীদের উপস্থিতির তালিকা এবং উৎপাদনের সাথে জড়িত গোপনীয় তথ্য WhatsApp-এর মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। লুডো গেমে লুকিয়ে থাকা এই দেশদ্রোহের খেলা কোন সাসপেন্স থ্রিলারের চেয়ে কম নয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ফিরোজাবাদের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির আরেকজন কর্মচারী রবীন্দ্র কুমারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেখান থেকেই ATS কুমার বিকাশের সন্ধান পেয়েছে, যিনি দেশের নিরাপত্তাকে গুরুতর আঘাত করেছে।
ATS-এর কঠোরতা এবং দেশদ্রোহীদের উদ্দেশ্য
ATS কুমার বিকাশকে গ্রেপ্তার করেছে এবং এখন তার গहन জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এটাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে এটি কি কোন বড় ষড়যন্ত্রের অংশ, যাতে আরও কর্মচারী জড়িত আছে কিনা। দেশের বিরুদ্ধে এই দেশদ্রোহিতা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব এখন শুধুমাত্র বন্ধুত্ব নয়, বরং দেশের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
