প্রধানমন্ত্রী মোদীর ট্রিপল টি সূত্র—প্রতিভা, স্বভাব ও প্রযুক্তি—ভারতে উদ্ভাবন, নেতৃত্ব ক্ষমতা এবং ডিজিটাল উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করছে। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।
PM মোদী: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি দিল্লির ভারত মণ্ডপমে অনুষ্ঠিত প্রথম উদ্ভাবন সম্মেলন ‘যুগ্ম’-তে তাঁর ট্রিপল টি সূত্রের কথা প্রকাশ করেছেন, যা ভারতের ভবিষ্যৎ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই সূত্রে প্রতিভা, স্বভাব ও প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের ভবিষ্যৎ তার যুবপরিষদের উপর নির্ভরশীল, এবং তাই প্রয়োজন এই যে, আমরা তাদের শিক্ষা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্তুত করি।
ভারতে শিক্ষা ও উদ্ভাবনের নতুন যুগ
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও জানিয়েছেন যে, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজন অনুযায়ী আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে, আজকাল শিশুদের ছোটবেলা থেকেই উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে নতুন সমাধান ও চিন্তাভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, অটল টिंकरिंग ল্যাব (ATL)-এর মাধ্যমে শিশুরা তাদের সৃজনশীলতা ও চিন্তাধারাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বায়ো সায়েন্স ও AI-তে ১৪০০ কোটি টাকার চুক্তি
এই সম্মেলনে, বাদভানী ফাউন্ডেশন আইআইটি বোম্বে, আইআইটি কানপুর এবং ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (NRF)-এর সাথে মিলে AI, বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা এবং বায়ো সায়েন্সের ক্ষেত্রে ১৪০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে। এই পদক্ষেপ ভারতকে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিকে নিয়ে যাবে।
গবেষণা ও পেটেন্টে বৃদ্ধি
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে, গত এক দশকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অনেক দ্রুতগতিতে কাজ হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে যেখানে গবেষণায় ব্যয় ছিল মাত্র ৬০,০০০ কোটি টাকা, সেখানে এখন তা বৃদ্ধি করে ১,২৫,০০০ কোটি টাকার বেশি করা হয়েছে। পাশাপাশি, পেটেন্টের ক্ষেত্রেও গতি বেড়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে মাত্র ৪০,০০০ পেটেন্ট ফাইল হয়েছিল, সেখানে এখন সেই সংখ্যা ৮০,০০০-এর বেশি হয়েছে।
গবেষণার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে
প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, উন্নত ভারতের লক্ষ্য অর্জনে সময় কম এবং লক্ষ্য বড়। তাই প্রোটোটাইপ থেকে পণ্য পর্যন্ত যাত্রা কম সময়ে সম্পন্ন করা প্রয়োজন, যাতে গবেষণার সুফল দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং শিল্প জগতকে গবেষকদের সাহায্য করতে এবং তাদের নির্দেশনা দিতে হবে।