মऊ-র বিধায়ক আব্বাস আনসারি ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্যের মামলায় দোষী

মऊ-র বিধায়ক আব্বাস আনসারি ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্যের মামলায় দোষী
সর্বশেষ আপডেট: 31-05-2025

ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্যের মামলায় মऊ-র বিধায়ক আব্বাস আনসারিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তৃতার জন্য আদালতের এই রায়। শাস্তির ঘোষণা অল্পক্ষণের মধ্যেই হবে।

ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্যের মামলা: উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে আবারও বড় মোড়। মऊ জেলার বিধায়ক এবং মুখতার আনসারির পুত্র আব্বাস আনসারিকে ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্যের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই মামলা ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তৃতার সাথে জড়িত। আব্বাস আনসারি এক জনসভায় মঞ্চ থেকেই কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছিলেন যে, যদি তাঁদের দল ক্ষমতায় আসে, তাহলে তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

এই বক্তব্যের পরে বিতর্কের সৃষ্টি হয় এবং এখন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অল্পক্ষণের মধ্যেই মऊ-র এমপি-এমএলএ আদালত এই মামলায় শাস্তির ঘোষণা করবে। এই রায় আব্বাস আনসারির রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

সম্পূর্ণ ঘটনা কী ছিল?

আব্বাস আনসারির এই বিতর্কিত বক্তব্য উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের সময়, ৩ মার্চ ২০২২-তে দেওয়া হয়েছিল। মऊ-র পাহাড়পুর মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় আব্বাস বলেছিলেন, যদি তাঁদের দল ক্ষমতায় আসে, তাহলে তিনি কর্মকর্তাদের সাথে হিসেব-নিকেশ করবেন। তিনি মঞ্চ থেকেই কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁদের ‘দেখে নেবেন’। তাঁর এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে গিয়েছিল। তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর গঙ্গারাম বিন্দ এই মামলায় মऊ থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন।

কোন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল?

আব্বাস আনসারির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • ধারা 506 (অপরাধমূলক হুমকি)
  • ধারা 171F (নির্বাচনে ভুল প্রভাব ফেলা)
  • ধারা 186 (সরকারি কাজে বাধা দেওয়া)
  • ধারা 189 (সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া)
  • ধারা 153A (দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো)
  • ধারা 120B (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)

এই ধারাগুলির আওতায় মামলা মऊ-র প্রধান ন্যায়িক ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) ডাঃ কে.পি. সিংহের আদালতে চলছিল। আদালত সকল পক্ষের যুক্তি শোনার পর আব্বাস আনসারিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এখন আদালত অল্পদিনের মধ্যেই তাঁর শাস্তির ঘোষণা করবে।

এখন কি আব্বাস আনসারির বিধায়কপদ যাবে?

আব্বাস আনসারি বর্তমানে মऊ সদর আসনের বিধায়ক। যদি আদালত তাঁকে দুই বছর অথবা তার বেশি শাস্তি দেয়, তাহলে তাঁর বিধায়কপদ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, যদি কোন জনপ্রতিনিধিকে দুই বছর অথবা তার বেশি শাস্তি হয়, তাহলে তাঁর সদস্যপদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আব্বাস আনসারির রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় সংকট দেখা দিয়েছে। এই রায় তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক যাত্রাকে নির্ধারণ করতে পারে।

মুখতার আনসারির পরিবার আগে থেকেই কেন বিতর্কে জড়িত ছিল?

মুখতার আনসারি এবং তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কে জড়িত। মুখতার আনসারি নিজেই মافিয়া চরিত্রের নেতা হিসেবে পরিচিত এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত। আব্বাস আনসারি তাঁর পুত্র এবং তিনি তাঁর পিতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার বহন করে মऊ আসন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে, এখন এই ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্যের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আব্বাসের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Leave a comment