মহারাষ্ট্রে গর্ভবতী তনীষা বিশে-র মৃত্যু, দুই সন্তানের জন্মের পরে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি বলে অভিযোগ। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এমএলসি অমিত গোরখে ভিডিও প্রকাশ করে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর হাসপাতাল ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য: পুনের দীনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতাল আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম জমা না করার কারণে একটি গর্ভবতী মহিলাকে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল হাসপাতাল, যার ফলে মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি এমএলসি অমিত গোরখে একটি ভিডিও প্রকাশ করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এই ঘটনা আলোচনায় আসে।
মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিসের নজর
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। পুনের যুক্ত আয়ুক্ত (ধর্মতার কাজ) এর নেতৃত্বে এই কমিটি গঠিত হয়েছে। আইন ও ন্যায় বিভাগের উপ-সচিব বা অতিরিক্ত সচিবকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটি পুরো ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে।
‘ধর্মতারোগী পরিকল্পনা’ পালনের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় কঠোর
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় স্পষ্ট করে বলেছে যে, সকল ধর্মতার হাসপাতালকে হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত ‘ধর্মতারোগী পরিকল্পনা’ পালন করতে হবে। এখন নিশ্চিত করা হবে যে, গরিব ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত বিছানার সুবিধা ‘ধর্মতার হাসপাতাল সাহায্য ডেস্ক’ এর মাধ্যমে পারদর্শীভাবে প্রদান করা হবে।
ফড়নবিস বলেছেন- ‘এটি হাসপাতালের অসমবেদনশীলতা’
মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাকে ‘হাসপাতালের অসমবেদনশীলতা’ বলে অভিহিত করে চিকিৎসা নীতির অভাবকে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করেন। তিনি মনে করেন, এ ধরণের ঘটনা সমাজে ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক নীতিগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে।
হাসপাতাল অভিযোগ অস্বীকার করেছে
মঙ্গেশকর হাসপাতাল তাদের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, ১০ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, মহিলার অবস্থা গুরুতর ছিল এবং তাকে নবজাতক গहन চিকিৎসা ইউনিট (NICU) -তে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার প্রয়োজন ছিল। এ কারণেই তাকে সরকারি সসুন হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।