লালু যাদব ‘চাকরির বিনিময়ে জমি’ মামলায় FIR এবং চার্জশিট বাতিলের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। কপিল সিব্বল আইনি যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।
বিহার: রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD)-এর প্রধান এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব আবারও শিরোনামে। এবার বিষয়টি ‘চাকরির বিনিময়ে জমি’ দুর্নীতির, যেখানে CBI লালু যাদবের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে এবং চার্জশিটও দাখিল করেছে। লালু যাদব এই মামলাগুলি বাতিল করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেছেন যে, CBI-এর দায়ের করা FIR এবং দাখিল করা চার্জশিট বাতিল করা উচিত কারণ এটি আইনানুগ প্রক্রিয়া নয়।
‘চাকরির বিনিময়ে জমি’ দুর্নীতি কী?
এই ঘটনা তখনকার, যখন লালু যাদব দেশের রেলমন্ত্রী ছিলেন। CBI-এর অভিযোগ, লালু যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন, কিছু লোককে রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে তাদের পরিবারের নামে জমি হস্তান্তর করা হয়েছিল। CBI-এর দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত দুর্নীতি, যেখানে চাকরির বিনিময়ে জমি নেওয়া হয়েছিল। এই মামলায় লালু যাদব ছাড়াও তাঁর পরিবারের কিছু সদস্যও অভিযুক্ত।
লালু যাদবের রিট: মূল যুক্তিগুলি কী?
লালু যাদবের পক্ষে আদালতে উপস্থিত হয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল আদালতে বলেছেন যে, এই পুরো মামলার তদন্ত শুরু করার আগে CBI প্রয়োজনীয় অনুমতি নেয়নি। সিব্বল আদালতকে জানিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার আগে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই মামলায় CBI অনুমতি ছাড়াই তদন্ত শুরু করেছে, যা আইন লঙ্ঘন।
সিব্বল আরও বলেছেন যে, অন্য মামলায় অনুমতি নেওয়া হলেও, এই মামলায় তা করা হয়নি। এতে পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন উঠছে এবং এটি ন্যায়ের নীতির বিরুদ্ধে। লালু যাদবের দাবি, এই মামলা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে, যেখানে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
CBI-এর যুক্তি: তদন্তকারী সংস্থা কী বলছে?
CBI-এর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে সংস্থার দাবি, তারা পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ী করেছে। CBI-এর দাবি, তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যা লালু যাদব এবং তাঁর পরিবারের জড়িত থাকার প্রমাণ দেয়। এই মামলায় তিনটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে এবং ট্রায়াল কোর্ট তা গ্রহণও করেছে।