উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরপরই কুশীনগরের মদনী মসজিদে বুলডোজার চালিয়েছে প্রশাসন। সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার অভিযান শুরু, ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন।
UP News: উচ্চ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই রবিবার কুশীনগরের বিতর্কিত মদনী মসজিদে বুলডোজার চালিয়েছে প্রশাসন। সরকারি জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার জন্য পাঁচটি বুলডোজার ব্যবহার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ঘটনাস্থলে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ও পিএসি জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে।
১০টি থানার পুলিশ ও পিএসি মোতায়েন
সিও কসিয়া কুন্দন কুমার সিংহের নেতৃত্বে ১০টি থানার পুলিশ ও একটি প্লাটুন পিএসি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মসজিদ পক্ষ উচ্চ আদালত, ইলাহাবাদে রিট দায়ের করে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিল, যার উপর আদালত ৮ জানুয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
হিন্দুত্ববাদী নেতার অভিযোগের পরে ঘটনা আলোচনায় আসে
এই ঘটনা তখন আলোচনায় আসে যখন বিজেপি নেতা রামবচন সিংহ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযোগ করেন যে, সরকারি জমিতে অবৈধভাবে হাটায় এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদের নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ প্রশাসন জমির পরিমাপ করে দেখে যে, ৬ ডিসমিল সরকারি জমিতে দখল করে মসজিদের নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর প্রশাসন নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং তদন্ত শুরু করে।
মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থের উৎসের তদন্ত চলছে
মসজিদ নির্মাণে ব্যবহৃত অর্থের উৎস এবং অন্যান্য দিক নিয়ে তদন্ত চলছে। ২৫ জানুয়ারী পুলিশ মসজিদ নির্মাণ কমিটির সদস্য জাকির, শাকির, জাফরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা ও জনসম্পত্তি ক্ষতি প্রতিরোধ আইনসহ অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করে। তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে প্রশাসন মসজিদ নির্মাণের সাথে জড়িত সকল দিকের গভীর তদন্ত শুরু করেছে।
উচ্চ আদালতের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরপরই অভিযান শুরু
মসজিদ পক্ষকে সরকারি জমিতে করা অবৈধ নির্মাণ নিজেই সরিয়ে ফেলার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে, পক্ষগুলো শুধুমাত্র চারদিওয়াল ভেঙে ফেলেছে, কিন্তু প্রধান ভবন সরানো হয়নি। এরপর উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করে স্থগিতাদেশ নেওয়া হয়, যা ৮ জানুয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর ছিল। আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সময়সীমা শেষ হওয়ার পরপরই প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে মদনী মসজিদের অবৈধ নির্মাণ ধ্বংস করে দেয়।
এলাকায় সতর্কতা, পুলিশ মোতায়েন
বুলডোজার অভিযানকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার আশঙ্কায় প্রশাসন নিরাপত্তার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের দল আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।