পাকিস্তানে অবস্থিত কর্তারপুর সাহেব গুরুদ্বারে যাওয়া লক্ষ লক্ষ শিখ ভক্তের জন্য একটি বড় খুশির খবর এসেছে। পাকিস্তান ভক্তদের জন্য ভিসা ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নয়াদিল্লি/চণ্ডীগড়: ভারতের কূটনীতি অবশেষে তার প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে। পাকিস্তানকে নয়াদিল্লির কথা মানতে হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের পাঞ্জাব প্রদেশে শিখদের পবিত্র তীর্থস্থান, গুরুদ্বার কর্তারপুর সাহেব অবস্থিত। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিখ ভক্ত কর্তারপুর সাহেবের যাত্রা করেন, যাদের কাছ থেকে ২০ ডলার (প্রায় ১৭০০ টাকা) ভিসা ফি নেওয়া হয়। ভারত এই ফি মওকুফ করার জন্য ক্রমাগত দাবি জানিয়ে আসছিল।
এখন পাকিস্তান ভিসা ফি মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি চীন পূর্বী লাদাখের LAC-এর দেপসাং, ডেমচোক সহ বেশ কিছু স্থান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করেছে। এর সাথে সাথে ভারতীয় সেনাও সীমান্তে পেট্রোলিং শুরু করেছে।
এখন পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকার কর্তারপুর সাহেব যাওয়া ভারতীয় শিখ ভক্তদের জন্য ভিসা ফি মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছে। এভাবে, ভারতীয় কূটনীতি একসাথে দুটি সামরিক অভিযানে জয়ী হয়েছে।
কর্তারপুর সাহেবের জন্য বড় খুশির খবর
কর্তারপুর সাহেব যাওয়া লক্ষ লক্ষ শিখ ভক্তদের জন্য পাকিস্তান থেকে একটি আনন্দের সংবাদ এসেছে। এখন বাইরের শিখ তীর্থযাত্রীদের পবিত্র কর্তারপুর সাহেবের যাত্রার জন্য ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে না। শাহবাজ শরিফের সরকার এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিসা ফি মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই দাবির জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল, যা ইসলামাবাদ এখন ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্তের সাথে সাথে পাকিস্তান ভিসা অন অ্যারাইভালের সুবিধাও চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে শুধুমাত্র শিখ ভক্তদেরই সুবিধা হবে না, পাকিস্তানের পর্যটনও এতে উন্নতি পাবে।
প্রতি বছর ১০ লক্ষ ভক্ত যাত্রা করবেন
কর্তারপুর সাহেব যাওয়া শিখ ভক্তদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষ শিখ ভক্ত এই পবিত্র স্থানের যাত্রা করেন। পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিবেশী দেশের পর্যটন উন্নত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারোয়ালে অবস্থিত কর্তারপুর সাহেব করিডোর সম্প্রতি আরও ৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই করিডোরের ক্রমাগত খোলা থাকা নিশ্চিত হয়েছে। ২৪ অক্টোবর ২০১৯-এ করা মূল চুক্তিতে এটিকে পাঁচ বছরের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থা ছিল, যা এখন আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
