২০৩২ সালে কলকাতায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ? নাসা কেন এত চিন্তিত!

২০৩২ সালে কলকাতায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ? নাসা কেন এত চিন্তিত!
সর্বশেষ আপডেট: 22-02-2025

২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর! এমন একটি তারিখ যা আজকে পৃথিবীজুড়ে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাসার নতুন রিপোর্টের ভিত্তিতে, এই দিন এক ভয়াবহ মহাকাশীয় ঘটনা ঘটতে পারে, যা ভারতের দুটি প্রধান শহর কলকাতা এবং মুম্বইকে চিরকাল বদলে দিতে পারে। এটি এক গ্রহাণুর (Asteroid) আছড়ে পড়ার আশঙ্কার ফলস্বরূপ।

‘2024 YR-4’ – এক বিপদজনক গ্রহাণু

বিশ্বের বৃহত্তম মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে যে, ‘2024 YR-4’ নামের এই গ্রহাণুর গতিপথ পৃথিবীর সঙ্গে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সাত বছর পর, ২০৩২ সালে এই গ্রহাণু যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, তবে কলকাতা এবং মুম্বইসহ ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক অংশে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে। তবে এই খবর সামনে আসার পর থেকেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী মহলে।

নাসার ‘রিস্ক করিডর’ এবং কলকাতার নাম

নাসা এই গ্রহাণুর গতিপথ বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর বুকে একটি রিস্ক করিডর (Risk Corridor) তৈরি করেছে। এটি একটি কাল্পনিক রেখা, যা গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সীমানা নির্ধারণ করে। এই রিস্ক করিডর এর মধ্যে কলকাতার নাম রয়েছে, যা আমাদের কাছে উদ্বেগজনক খবর। এর মানে হল, কলকাতা শহর এই গ্রহাণুর প্রভাবের সীমানার মধ্যে পড়ে, এবং এটি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা উত্থাপন করছে।

গ্রহাণু আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা এবং আশঙ্কা

প্রথমে, নাসা জানিয়েছিল যে ‘2024 YR-4’ গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ৩.১ শতাংশ ছিল। তবে পরবর্তীতে ১৯ ফেব্রুয়ারি, ওই আশঙ্কা কমিয়ে ১.৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়। যদিও এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ইমপ্যাক্ট প্রোবাবিলিটি বা ক্ষতির সম্ভাবনা, যা বিজ্ঞানীদের আরও সতর্ক করে তুলেছে। গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার ব্যাপারে নাসা এখনও গঠনমূলক পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে, এবং প্রভাবিত এলাকার প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বিপদকে মোকাবিলার প্রস্তুতি?

বর্তমানে এই গ্রহাণুর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ চললেও, নাসা এবং অন্যান্য মহাকাশ সংস্থাগুলো এটি মোকাবিলা করতে আরও প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং মহাকাশ পর্যবেক্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর অনেক দূরের দিন, তবুও এখন থেকেই বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণে সক্রিয় হয়েছেন।

বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহাণুর আছড়ে পড়া কেবল কলকাতা নয়, সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটি বিপর্যয় হয়ে উঠতে পারে। তবে আমাদের প্রত্যাশা, ২০৩২ সালের সেই ভয়াবহ দিনটি আসতে না-হোক!

Leave a comment