উত্তর প্রদেশের কৌশাম্বী জেলার একটি স্কুল বাস হঠাৎ আগুনের গোলায় পরিণত হয়, যার ফলে ৪০ জন স্কুলছাত্রের জীবন বিপন্ন হয়। বাসে হঠাৎ ধোঁয়া উঠতে দেখে চালক সতর্কতা অবলম্বন করে বাসটি থামিয়ে সকল ছাত্রছাত্রীকে নিরাপদে বাইরে বের করে আনে।
উত্তর প্রদেশ: কৌশাম্বী জেলায় তখন হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যখন একটি স্কুল বাস, যা ছাত্রছাত্রীদের স্কুল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখায় ঘেরা হয়ে যায়। চালক বাস থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখামাত্র তিনি অবিলম্বে বাসটি থামিয়ে কন্ডাক্টর এবং স্থানীয়দের সাহায্যে সকল ছাত্রছাত্রীকে নিরাপদে বাইরে বের করে আনেন। স্থানীয়রা বেশ কষ্ট করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, কিন্তু বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ভাগ্যিস, চালক ও কন্ডাক্টরের সতর্কতা ও বুদ্ধিমত্তার ফলে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
চালক-কন্ডাক্টরের বীরত্বে ৪০টি প্রাণ রক্ষা
এই ঘটনা মঞ্ঝনপুর থানা এলাকার প্রধান চৌরাস্তায় ঘটে। বিপি পাবলিক স্কুলের বাসটি ছাত্রছাত্রীদের স্কুল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই হঠাৎ বাস থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। দেখতে দেখতে আগুন বাসটিকে আক্রান্ত করে, যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসে ধোঁয়া উঠতে দেখে চালক অবিলম্বে বাসটি থামিয়ে কন্ডাক্টরের সাথে মিলে ছাত্রছাত্রীদের বাইরে বের করতে শুরু করে। ভীতসন্ত্রস্ত ছাত্রছাত্রীরা চিৎকার করতে থাকে, কিন্তু চালক দল ধৈর্য ধরে সকলকে নিরাপদে বাইরে বের করে আনে।
বাসে আগুন লাগার সাথে সাথে আশপাশের লোকজন সাহায্যের জন্য ছুটে আসে। চৌরাস্তায় অবস্থানরত পুলিশ কর্মীরা অবিলম্বে ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেয়। তবে, দমকল বাহিনী পৌঁছনোর আগেই স্থানীয়রা বেশ কষ্ট করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শর্ট সার্কিট কি দুর্ঘটনার কারণ?
প্রাথমিক তদন্তে বাসে শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লাগার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বস্তির বিষয় হলো, বাসে কোনো ছাত্রছাত্রীরই আঘাত লাগেনি এবং সময়মতো সকলেই নিরাপদে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনার পর প্রশাসন স্কুল বাসগুলির নিরাপত্তা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে। অভিভাবকরা বাসগুলির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।