কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারমৈয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমারের মধ্যে জনসেবা বিভাগের পাঁচ ইঞ্জিনিয়ারের বদলি নিয়ে বিরোধ বাড়ছে, উপমুখ্যমন্ত্রী বদলি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
কর্ণাটক সংবাদ: কর্ণাটকের রাজনীতিতে আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারমৈয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমারের মধ্যে জনসেবা বিভাগের পাঁচজন জ্যেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারের বদলি নিয়ে গুরুতর মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এই বিষয়টি কর্ণাটক কংগ্রেস সরকারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা উন্মোচন করেছে। আসুন বিস্তারিতভাবে বুঝে নেওয়া যাক আসলে সমস্যাটা কী এবং কেন দুই নেতার মধ্যে সংঘাত হচ্ছে।
কর্ণাটক সরকারে উত্তেজনার সূত্রপাত
কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারে সিদ্ধারমৈয়া এবং ডি.কে. শিবকুমারের মধ্যে এর আগেও বহুবার সংঘাত দেখা গেছে। দুই নেতাই দলের শক্তিশালী মুখ এবং দুজনেরই নিজস্ব প্রভাবক্ষেত্র আছে। কিন্তু এবার জনসেবা বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের বদলি এই বিরোধকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
জনসেবা বিভাগ জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে, যার নেতৃত্ব দেন উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার। অন্যদিকে, বদলির আদেশ জারি করেছে কর্মী বিভাগ, যা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারমৈয়ার অধীনে। এই কারণেই দুজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
বদলির ঘটনা: কী বিতর্ক?
গত কয়েকদিনে জনসেবা বিভাগ থেকে পাঁচজন জ্যেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারকে বদলি করা হয়েছে, যার প্রতিবাদ করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার। তিনি বলছেন, এই বদলির জন্য তাকে কোনও পূর্ব সূচনা দেওয়া হয়নি, অথচ এটি তার বিভাগের সাথে সম্পর্কিত বিষয়।
ডি.কে. শিবকুমার এই বিষয় নিয়ে মুখ্য সচিব শালিনী রজনীশকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি লিখেছেন, যেখানে তিনি বদলিগুলি অবিলম্বে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চিঠিতে স্পষ্ট করে বলেছেন, তার বিভাগের কর্মচারীদের বদলি তার অনুমতি ছাড়া করা যাবে না।
উপমুখ্যমন্ত্রীর চিঠি এবং তার যুক্তি
উপমুখ্যমন্ত্রী তার চিঠিতে কংগ্রেস সরকার গঠনের সময় হওয়া একটি চুক্তির কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, দলের সেই চুক্তি অনুসারে, তার বিভাগের সাথে সম্পর্কিত কোনও নিয়োগ বা বদলির জন্য তার অনুমতি প্রয়োজন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তার সম্মতি ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা অনুচিত।
এছাড়াও, তিনি এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, যাদের বদলি করা হয়েছে সেই ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে একজন এই মাসের শেষে অবসর নেওয়ার কথা, যার ফলে এই বদলি আরও বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।