কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামৈয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমার দিল্লি সফরে। বেঙ্গালুরুতে ভীড়ের ঘটনার পর মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের আলোচনা। কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সাথে বৈঠক, জাতিগত জনগণনার বিষয়েও আলোচনা হবে।
Karnataka: কর্ণাটকের রাজনীতিতে এখন কিছু বড় ঘটনা ঘটার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামৈয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমার দিল্লি পৌঁছেছেন এবং খবর আছে যে, কর্ণাটকের মন্ত্রিসভায় শীঘ্রই পুনর্গঠন হতে পারে। বেঙ্গালুরুতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভীড়ের ঘটনার পর এটি ঘটছে, যেখানে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেস দল এখন এই দুর্ঘটনার পর তাদের ভাবমূর্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে।
দিল্লি সফর ও মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের আলোচনা
সিদ্ধারামৈয়া ও ডি.কে. শিবকুমার ১০ জুন, ২০২৫ মঙ্গলবার দিল্লি পৌঁছেছেন। খবর আছে যে, তারা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সাথে দেখা করবেন। এদের মধ্যে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে, কে.সি. বেণুগোপাল ও রণদীপ সুরজেওয়ালা-র নাম উল্লেখযোগ্য। সূত্র মতে, এই বৈঠকে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তবে, কর্ণাটকের গৃহমন্ত্রী জি. পরমেশ্বর জানিয়েছেন যে, তিনি জানেন না মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেন দিল্লি গেছেন। তিনি অনুমান করেছেন যে, তারা হয়তো বেঙ্গালুরু ভীড়ের ঘটনার তথ্য দলের শীর্ষ নেতাদের জানাতে গেছেন। পরমেশ্বর আরও বলেছেন যে, যদি তাকে ডাকা হয়, তাহলে তিনিও দিল্লি যাবেন।
বেঙ্গালুরু ভীড়ের ঘটনায় বাড়ল সমস্যা
৪ জুন, ২০২৫-এ বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে আরসিবির আইপিএল জয়ের উৎসবে ভীড়ের ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু এবং ৫৬ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনা কর্ণাটক সরকারকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। বিজেপি ও জেডি(এস) সিদ্ধারামৈয়া, ডি.কে. শিবকুমার ও গৃহমন্ত্রী পরমেশ্বরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। বিজেপি এটিকে "রাষ্ট্রের অবহেলার" দাবি করেছে।
এই ঘটনা কংগ্রেস সরকারের উপর প্রশ্ন তুলেছে। খবর আছে যে, রাহুল গান্ধী এই ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ এবং বড় ধরনের পরিবর্তনের দাবি করতে পারেন। দল এখন মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের মাধ্যমে জনগণকে দেখাতে চায় যে, তারা তাদের ভুল সংশোধন করার জন্য গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের সম্ভাবনা
সূত্র মতে, এই পুনর্গঠনে বর্ষীয়ান নেতা বি.কে. হরিপ্রসাদ ও আর.ভি. দেশপাণ্ডেকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও, ডি.কে. শিবকুমার ও জি. পরমেশ্বরের মন্ত্রণালয়েও পরিবর্তন হতে পারে। ডি.কে. শিবকুমার, যিনি কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতিও, তার স্থলে কোনও নতুন মুখ আনা হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়েও আন্দোলন চলছে। সম্প্রতি সিদ্ধারামৈয়ার রাজনৈতিক সচিব কে. গোবিন্দরাজকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং শীঘ্রই আরও লোককে বরখাস্ত করা হতে পারে।
জাতিগত জনগণনা নিয়েও আলোচনা হবে
দিল্লিতে হওয়া এই বৈঠকে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের পাশাপাশি জাতিগত জনগণনা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত সমাজ-অর্থনৈতিক জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে কি না, নাকি তেলেঙ্গানার মতো নতুন জরিপ করা হবে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। কিছু নেতার মতে, এই জরিপ এখনই বন্ধ করে দেওয়া উচিত যাতে দলের রাজনৈতিক ক্ষতি না হয়।
জাতিগত জনগণনা কর্ণাটকে একটি বড় বিষয়। কেউ কেউ এটি বাস্তবায়ন করতে চান, আবার কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।