কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের নিরাপত্তা আরও জোরদার করে তাঁর কাফিলে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি যোগ করেছে। তিনি ইতোমধ্যেই সিআরপিএফ-এর কাছ থেকে জেড শ্রেণীর সশস্ত্র নিরাপত্তা পাচ্ছেন এবং এখন তাঁর নিরাপত্তা আরও উন্নত হবে।
ডঃ এস. জয়শঙ্কর: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে, ভারত সরকার বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস. জয়শঙ্করের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। পাকিস্তান থেকে উঠে আসা নিরাপত্তা ঝুঁকির গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বিদেশমন্ত্রীর কাফিলে একটি অতিরিক্ত বুলেটপ্রুফ গাড়ি যোগ করা হয়েছে, যা তাঁর নিরাপত্তাকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে। এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে যে, সরকার বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করছে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সময়।
জয়শঙ্করের জেড শ্রেণীর নিরাপত্তা
বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস. জয়শঙ্কর ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (CRPF) থেকে 'জেড' শ্রেণীর সশস্ত্র নিরাপত্তা (Z-Category Security) পাচ্ছেন, যা তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে যে কোনও ধরণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্য।
এখন, এই নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাঁকে উন্নতমানের নিরাপত্তা গাড়ি সরবরাহ করা হবে, যা দেশজুড়ে ভ্রমণের সময় তাঁর নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করবে। এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে।
কেন বাড়ানো হল বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা?
বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস. জয়শঙ্করের নিরাপত্তা নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সাম্প্রতিককালে বৃদ্ধি পেয়েছে এমন নিরাপত্তা ঝুঁকির মূল্যায়নের পর নেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশকে বিবেচনা করে CRPF (Central Reserve Police Force) এস. জয়শঙ্করের নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও, গত বছর অক্টোবরে জয়শঙ্করের নিরাপত্তা 'ওয়াই' শ্রেণী থেকে 'জেড' শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছিল। এর পর, দিল্লি পুলিশ থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে সিআরপিএফ পুরো দায়িত্ব নিয়েছে।
২২শে এপ্রিল পহেলগামে হওয়া সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, ভারত পাকিস্তানকে তার সামরিক শক্তির মাধ্যমে কঠোর বার্তা দিয়েছিল। এই হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিকে বিবেচনা করে বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে, অপারেশন সিন্দুরও শুরু করা হয়েছে, যা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করেছে।
সিআরপিএফ-এর ভূমিকা এবং নিরাপত্তার স্তর
সিআরপিএফ বর্তমানে দেশের 210-এরও বেশি VIP-কে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ, নীতিন গড়কড়ি, দালাই লামা এবং কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ংকা গান্ধী ভাদ্রা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় CRPF (Central Reserve Police Force) তাদের কর্মকর্তা এবং জওয়ানদের এই VIPদের পাশে মোতায়েন করে, যাতে তারা কোনও সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকতে পারে।
অপারেশন সিন্দুর এবং ভারত-পাক সংঘর্ষ
ভারত কর্তৃক শুরু করা অপারেশন সিন্দুর ৭ই মে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে শুরু হয়েছিল। এই অপারেশনের মাধ্যমে, জইশ-এ-মোহাম্মদ, লস্কর-এ-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত ১০০-এরও বেশি সন্ত্রাসবাদীকে নিধন করা হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্ত পারাপার করে গোলাগুলি করেছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোন হামলারও চেষ্টা করেছে।