সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের সুন্দরবনী সেক্টরে এক বড় আতঙ্কবাদী হামলা হয়েছে। আতঙ্কবাদীরা হঠাৎ করে সেনার গাড়ির উপর গুলিবর্ষণ করে এবং পরে পালিয়ে যায়। হামলার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে।
হামলার পেছনে অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র?
সূত্রের খবরে, এই হামলা সোমবার দুপুর প্রায় ১২:৪৫ টায় ঘটে, যখন সেনার একটি গাড়ি নিয়মিত টহলে ছিল। আতঙ্কবাদীরা ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালায় এবং অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যায়। সেনার জওয়ানদের প্রতিরোধের সুযোগ হয়নি, কারণ হামলাটি অত্যন্ত হঠাৎ করে হয়েছিল। এই এলাকাটি পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত, যার ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এটি কোন বড় অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।
সকাল থেকে চলছে তল্লাশি অভিযান
বিশেষত, যে এলাকায় এই হামলা হয়েছে সেখানে ইতোমধ্যেই সেনার তল্লাশি অভিযান চলছিল। আতঙ্কবাদী কর্মকাণ্ডের খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু হয়েছিল, যার সময় সেনার দলের উপর এই হামলা হয়েছে। হামলার পর সারা সুন্দরবনী এলাকা সেনাবাহিনী ঘেরাও করেছে এবং উচ্চ পর্যায়ের তল্লাশি অভিযান চলছে। যেহেতু এটি এলওসির কাছে, তাই পুলিশকেও ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং অভিযান সম্পূর্ণরূপে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
যদিও সেনাবাহিনী এখনও এই হামলার আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে নি। প্রাথমিক তদন্তে এও ধারণা করা হচ্ছে যে এটি হামলা নয়, বরং সেনার গাড়ির চলাচলের সময় দুর্ঘটনাজনিত গুলি চালানোও হতে পারে।
৭ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় সেনা ৭ জন অনুপ্রবেশকারীকে হত্যা করেছে
এর আগে, ৭ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ৭ জন আতঙ্কবাদীকে ভারতীয় সেনা হত্যা করেছিল। এর মধ্যে ২-৩ জন পাকিস্তানি সেনাও থাকতে পারে, অন্যদিকে বাকিরা আল-বদর সংগঠনের সদস্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই আতঙ্কবাদী সংগঠনটি পাকিস্তানের সমর্থনে ভারতীয় ভূখণ্ডে সহিংসতা ছড়াতে চেষ্টা করে আসছে।