হিমাচল কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ ও কার্যকরীনি গঠন আবারও স্থগিত হয়েছে। ৩০শে মে শিমলায় ‘জয় হিন্দ সভা’র কারণে মুখ্যমন্ত্রী ও নেতারা দিল্লি সফর স্থগিত করে শিমলায় উপস্থিত থাকবেন।
Himachal Pradesh: হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (HPCC)-এর সভাপতি নিয়োগ ও কার্যকরীনি গঠনের বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল ৩০শে মে শিমলায় কংগ্রেসের বৃহৎ আয়োজন ‘জয় হিন্দ সভা’। এই সভার কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের দিল্লি সফর স্থগিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা বিস্তারিতভাবে বুঝতে পারব কেন এই বিলম্ব হচ্ছে এবং আগামী দিনগুলিতে কী সম্ভাবনা রয়েছে।
জয় হিন্দ সভা: কংগ্রেসের বৃহৎ আয়োজন
কংগ্রেস পার্টি ২০ থেকে ৩০ মে-র মধ্যে দেশজুড়ে ১৫টি ভিন্ন স্থানে ‘জয় হিন্দ সভা’ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল দলের ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করা এবং আগামী চ্যালেঞ্জগুলি মিলেমিশে মোকাবিলা করা। হিমাচল প্রদেশে এই সভা ৩০শে মে শিমলায় অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনের দায়িত্ব দলের হাইকমান্ড অজয় মাকান এবং রজনী পাটিলকে দিয়েছে, যারা শিমলায় এসে এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন।
কার্যক্রমটি চওড়া ময়দানস্থিত অম্বেদকর চৌক বা পিটারহফে অনুষ্ঠিত হতে পারে। কংগ্রেস রাজ্য পর্যায়ে নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করবে যাতে এই কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
সভাপতি নিয়োগ ও কার্যকরীনি গঠনে বিলম্ব কেন?
হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ও কার্যকরীনি গঠনের বিষয়টি নভেম্বর থেকেই অনিশ্চিত। নভেম্বরে রাজ্য কংগ্রেস কমিটিসহ জেলা ও ব্লক পর্যায়ের কমিটিগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই নতুন গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছিল এবং মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের পর সভাপতি ও কার্যকরীনি গঠনের আশা ছিল।
কিন্তু, ৩০শে মে ‘জয় হিন্দ সভা’ আয়োজনের কারণে এখন এই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এবং কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি প্রতীভা সিং রাজ্য সচিবালয়ে বৈঠক করে এই সভার রূপরেখা এবং প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
‘জয় হিন্দ সভা’র পর কংগ্রেস দল রাজ্য সভাপতি ও কার্যকরীনি গঠনে দ্রুত কাজ করতে পারে। দলের আলাকমানের নির্দেশ অনুযায়ী, এই কর্মসূচির পর নতুন কার্যকরীনি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নেতাদের জন্য কল টু অ্যাকশন
কংগ্রেস কর্মী ও রাজ্য নেতাদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে ‘জয় হিন্দ সভায়’ সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য। এই কর্মসূচির সফল আয়োজনের মাধ্যমে রাজ্য কংগ্রেস নতুন শক্তি পাবে এবং সভাপতি ও কার্যকরীনি গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে।