গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ৩.৫ কিমি দীর্ঘ বিমানবন্দর রানওয়েতে ভারতীয় বায়ুসেনা C-295, রাফেল, মিরাজ, সুখোই এবং জাগুয়ার বিমানের ট্রায়াল ল্যান্ডিং করে বায়ু-সামরিক অভিযানের প্রস্তুতির প্রদর্শন করেছে।
UP: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার উত্তর প্রদেশের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ভারতীয় বায়ুসেনা একটি শক্তিশালী বায়ু-সামরিক অভিযানের ট্রায়াল চালিয়েছে। শাহজাহানপুরের জালালাবাদে নির্মিত ৩.৫ কিমি দীর্ঘ রানওয়েতে রাফেল, সুখোই-৩০ এমকেআই, মিরাজ-২০০০, জাগুয়ার এবং MiG-29-এর মতো যুদ্ধবিমানের অবতরণ ও উড্ডয়ন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
C-295 এবং AN-32-এর মতো পরিবহন বিমানও তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে
দুপুর ১২:৩০ টায় বায়ুসেনার C-295 বিমান রানওয়েতে অবতরণ করে। এরপর AN-32, সুপার হারকিউলিস C-130J এবং MI-17 হেলিকপ্টারও যোগ দেয়। রাত ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত রাতের অবতরণেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয় - যা কোনও এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথমবারের ঘটনা।
প্রথমবার কোনও এক্সপ্রেসওয়েতে দিন-রাত অবতরণ
গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দেশের প্রথম এমন হাইওয়ে যা রাতের অবতরণের জন্যও প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত লখনউ-আগ্রা এবং পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে দিনের বেলায় অনুশীলন হয়েছে, কিন্তু এখানে দিন এবং রাত দুই সময়েই সামরিক অনুশীলন চলছে।
৩৬,২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবিষ্যতের কৌশলগত ভিত্তি
৫৯৪ কিমি দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে মেঠ থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত বিস্তৃত এবং প্রায় ৮০% নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রতিরক্ষার দিক থেকে শাহজাহানপুরের এই রানওয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত, যা চীনের সাথেও সংযুক্ত।
অমিত শাহের বার্তা এবং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি
গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বলেছেন যে পুলওয়ামা হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এই বায়ুসেনা অনুশীলন ভারতের সেই কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ যা কঠোর সতর্কতা এবং উচ্চ সতর্কতা প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। স্থলবাহিনী এবং নৌবাহিনীও তাদের নিজ নিজ স্থানে প্রস্তুতির সাথে জড়িত।
