দিল্লি স্কুল নির্মাণ দুর্নীতি: সিসোদিয়া এসিবির জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করেননি

দিল্লি স্কুল নির্মাণ দুর্নীতি: সিসোদিয়া এসিবির জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করেননি
সর্বশেষ আপডেট: 09-06-2025

দিল্লির সরকারি স্কুল নির্মাণে দুর্নীতির মামলায় মনীষ সিসোদিয়া এসিবির জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করেননি। সত্যেন্দ্র জৈনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে, তদন্ত অব্যাহত আছে।

DELHI CLASS ROOM CONSTRUCTION SCAM: দিল্লির সরকারি স্কুল নির্মাণে অভিযুক্ত গুরুতর দুর্নীতির মামলায়, অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ (এসিবি) এর একটি দল সোমবার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু মনীষ সিসোদিয়া কোনও কারণে জিজ্ঞাসাবাদে যাওয়া থেকে অসম্মতি জানিয়েছেন। এখন এসিবি তাঁর বিরুদ্ধে পুনরায় সামন জারি করবে।

মনীষ সিসোদিয়া কেন জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বিরত রইলেন?

এসিবি-র দল মনীষ সিসোদিয়ার সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তিনি এবার উপস্থিত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানান, শীঘ্রই একটি নতুন তারিখ নির্ধারণ করে মনীষ সিসোদিয়াকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। অন্যদিকে, এই মামলায় ইতিমধ্যেই आम आदमी पार्टी (আপ)-এর অন্য একজন নেতা সত্যেন্দ্র জৈনের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সত্যেন্দ্র জৈনের এসিবির সাথে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর বক্তব্য

শুক্রবার সত্যেন্দ্র জৈনকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি বিজেপির উপর তীব্র আক্রমণ চালিয়ে বলেন, বিজেপি কোনও বাস্তব কাজ করছে না, বরং শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্কুলের ফি বাড়িয়ে জনতাকে বিরক্ত করছে।

জৈন অভিযোগ করেন, এই মামলা বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, आम आदमी पार्टी এত ভালো স্কুল তৈরি করেছে, তারপরও তাঁকে এবং মনীষ সিসোদিয়াকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

মামলাটি কী? – দিল্লির স্কুল নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ

এই মামলাটি এপ্রিল ২০২৫ সালে দায়ের করা হয়, যখন এসিবি দিল্লি সরকারের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া এবং প্রাক্তন লোক নির্মাণ দপ্তরের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করে। অভিযোগ উঠেছে, দিল্লি সরকারের আমলে ১২,৭৪৮টি ক্লাসরুম এবং ভবন নির্মাণে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার ঘোটালার ঘটনা ঘটেছে।

দুর্নীতির অভিযোগের গুরুত্ব

বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা এই মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, সিমেন্ট (আরসিসি) দিয়ে তৈরি ক্লাসরুমের গড় আয়ু ৭৫ বছর হয়, কিন্তু এখানে অর্ধপাকা কাঠামো (semi-pucca structure) তৈরি করা হয়েছে, যার আয়ু মাত্র ৩০ বছর বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে এবং নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়নি।

কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিশন (সিভিসি)-এর প্রধান প্রযুক্তিগত পরীক্ষকের রিপোর্ট এই প্রকল্পে অনেক অনিয়ম উদ্ঘাটন করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রকল্পটি आम आदमी पार्टी-র সাথে যুক্ত ঠিকাদারদের দেওয়া হয়েছিল। টেন্ডার প্রক্রিয়া মেনে চলেনি এবং পরামর্শদাতা ও স্থপতি নিয়োগ করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে ব্যয় আরও বেড়ে গেছে। এই রিপোর্ট প্রায় তিন বছর ধরে তৎকালীন দিল্লি সরকারের দ্বারা দমন করা হয়েছিল।

Leave a comment