২৭ বছর পর দিল্লিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। প্রবেশ বর্মা, সতীশ উপাধ্যায়, বিজয়েন্দ্র গুপ্ত, রেখা গুপ্ত এবং আশীষ সুদ প্রার্থী হতে পারেন।
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী: ২৭ বছর পর দিল্লিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে গहन আলোচনা চলছে। দলের শীর্ষ নেতারা এ ব্যাপারে ক্রমাগত আলোচনা করছেন। অমিত শাহের বাসভবনে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে, যেখানে দিল্লি সরকার গঠনের বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সন্ধ্যায় দিল্লি প্রদেশ সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব এবং নবনির্বাচিত বিধায়কদের সাথেও বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিজেপি কার উপর আস্থা প্রদর্শন করবে?
বিজেপি এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য কোনও নামের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, তবে দলের ভিতরে কিছু নামের আলোচনা জোরদার হয়েছে। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে অনেক নেতা রয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রবেশ বর্মা, সতীশ উপাধ্যায়, বিজয়েন্দ্র গুপ্ত, রেখা গুপ্ত এবং আশীষ সুদ প্রধান প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নামগুলির উপর বিবেচনা করছে এবং শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীদের তালিকা
১. প্রবেশ বর্মা
নতুন দিল্লি আসন থেকে आम आदमी पार्टी-এর সমন্বয়ক এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করে প্রবেশ বর্মা এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহেব সিং বর্মার ছেলে এবং দিল্লির গ্রামীণ রাজনীতিতে প্রভাবশালী। দুবার সাংসদ এবং একবার বিধায়ক থাকা প্রবেশ বর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের যাত সম্প্রদায়কে সাথে নিতে পারে।
২. সতীশ উপাধ্যায়
মালবীয় নগর থেকে বিধায়ক সতীশ উপাধ্যায় দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। তিনি নতুন দিল্লি নগর পালিকা পরিষদ (এনডিএমসি)-এর উপ-সভাপতি এবং নগর নিগমের স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন। বর্তমানে তিনি মধ্যপ্রদেশ বিজেপির সহ-প্রভারী। আগ্রা থেকে আসা সতীশ উপাধ্যায়কে দিল্লির ঐতিহ্যগত বিজেপি ভোটারদের শক্তিশালী করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী করা যেতে পারে।
৩. বিজয়েন্দ্র গুপ্ত
রোহিণী থেকে বিধায়ক বিজয়েন্দ্র গুপ্ত দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০১৫ এবং ২০২০ সালে आम आदमी पार्टी-এর প্রবল ঢেউয়ের মধ্যেও তিনি তার আসন ধরে রাখতে সক্ষম হন। বিজেপি তাকে মুখ্যমন্ত্রী করে বৈশ্য সম্প্রদায়কে শক্তিশালী বার্তা দিতে পারে।
৪. রেখা গুপ্ত
শালিমার বাগ থেকে বিধায়ক রেখা গুপ্ত বিজেপি মহিলা মোর্চার জাতীয় উপ-সভাপতি। তিনি প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে নগর নিগম পার্ষদও। দল তাকে মহিলা এবং নগর ভোটারদের আকর্ষণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী করতে পারে।
৫. আশীষ সুদ
জনকপুরী থেকে জয়ী হওয়া আশীষ সুদ পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের একজন বড় নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং উপ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি গোয়া এবং জম্মু-কাশ্মীরের সহ-প্রভারী। দিল্লিতে পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের ভাল প্রভাব রয়েছে, তাই তাঁর দাবিও শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে।
পূর্বাঞ্চল থেকে কেউ উপমুখ্যমন্ত্রী পদ পেতে পারেন?
দিল্লিতে বেশিরভাগ পূর্বাঞ্চলীয় ভোটার রয়েছেন, তাদের আকর্ষণ করার জন্য বিজেপি কোনও পূর্বাঞ্চলীয় নেতাকে উপমুখ্যমন্ত্রী করতে পারে। বিশেষ করে এই বছর বিহারে বিধানসভা নির্বাচনও হবে, তাই দল এই কার্ডটি খেলতে পারে।
কখন মুখ্যমন্ত্রী পদের ঘোষণা হবে?
বিধানসভা নির্বাচন প্রভারী বৈজয়ন্ত জয় পান্ডার মতে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে, কিছু শীর্ষ নেতার মতে, এই সিদ্ধান্ত আরও দ্রুত নেওয়া যেতে পারে। এর সাথে সাথে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়েও আলোচনা চলছে।