পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় নির্মিত নতুন জগন্নাথ মন্দিরকে ‘ধাম’ বলায় বিতর্ক তীব্র, সুদর্শন পাটনায়ক মমতা সরকারের কাছে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন।
Odisha News: পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্র দীঘায় সম্প্রতি নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরকে ‘জগন্নাথ ধাম’ বলায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় এখন দুটি রাজ্য ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার आमने-সামনে। এদিকে, দেশের বিখ্যাত স্যান্ড আর্টিস্ট এবং পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত সুদর্শন পাটনায়ক এর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সুদর্শন পাটনায়কের মমতা ব্যানার্জির কাছে আবেদন
ওড়িশার পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত শিল্পী সুদর্শন পাটনায়ক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দীঘায় ভগবান জগন্নাথের মন্দির নির্মাণ একটি ভালো উদ্যোগ, কিন্তু তাকে ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা ভুল। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে আবেদন করেছেন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য, কারণ এতে দেশ ও বিশ্বের কোটি কোটি জগন্নাথ ভক্তের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
জগন্নাথ ধামের ধর্মীয় গুরুত্ব
সুদর্শন পাটনায়ক বলেছেন, ভারতে চারটি প্রধান ধাম আছে — বদ্রীনাথ, দ্বারকা, রামেশ্বরম এবং পুরীর জগন্নাথ ধাম। এই চারটি ধামই সনাতন ঐতিহ্য এবং শঙ্করাচার্য প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় ব্যবস্থার অধীনে বিশেষ স্থান পেয়েছে। তাই দীঘার মন্দিরকে ‘ধাম’ এর মর্যাদা দেওয়া শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক থেকেই ভুল নয়, ঐতিহ্যের বিরুদ্ধেও।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, জনগণের কাছে ভুল বার্তা
পাটনায়ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগছে এবং জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, মন্দিরকে মন্দির বলা উচিত, কিন্তু তাকে ‘ধাম’ বলা অনুচিত। তিনি বলেছেন, "ভগবান জগন্নাথের ভক্তদের বিভ্রান্ত করা ঠিক নয়।"
প্রশ্নের মুখে মমতা সরকার
এই সমগ্র বিতর্কের পর মমতা সরকারের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওড়িশা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিরোধিতা করা হচ্ছে। অনেক ধর্মীয় সংগঠন এবং ভক্তও এই বিষয়ে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।