প্রাক্তন CJI ডি. ওয়াই. চন্দ্রচূড় ন্যায়পালিকায় বংশবাদ, রাম মন্দির রায় এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর গণেশ পূজা ভ্রমণ সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেছেন। তিনি ন্যায়পালিকার নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতার উপর জোর দিয়েছেন।
DY Chandrachud Interview: ভারতের প্রাক্তন প্রধান ন্যায়াধীশ (CJI) ডি. ওয়াই. চন্দ্রচূড় তার কর্মজীবনের সাথে জড়িত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা শেয়ার করেছেন। তিনি রাম মন্দির সংক্রান্ত রায়, ন্যায়পালিকায় বংশবাদ এবং পুরুষতান্ত্রিকতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তার বাসভবনে আগমন সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন। বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ন্যায়পালিকার স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতার উপরও জোর দিয়েছেন।
ন্যায়পালিকায় পুরুষতান্ত্রিকতা নিয়ে চন্দ্রচূড় কী বলেছেন?
ন্যায়পালিকায় বংশবাদ এবং পুরুষতান্ত্রিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডি. ওয়াই. চন্দ্রচূড় বলেছেন যে, নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে, জেলা ন্যায়ালয়, যা দেশের সর্বনিম্ন আদালত, সেখানে নারীদের অংশগ্রহণ ৫০% এর বেশি। অনেক রাজ্যে নিম্ন আদালতে নারীদের নিয়োগ ৬০ থেকে ৭০% পর্যন্ত হচ্ছে।
বংশবাদ নিয়ে প্রাক্তন CJI কী বলেছেন?
প্রাক্তন প্রধান ন্যায়াধীশের ছেলে হওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন যে, তার পিতা, প্রাক্তন CJI ওয়াই. ভি. চন্দ্রচূড় তাকে বলেছিলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ভারতের প্রধান ন্যায়াধীশ, তুমি আইন আদালতে প্রবেশ করবে না।" এই কারণে ডি. ওয়াই. চন্দ্রচূড় হার্ভার্ড ল স্কুলে তিন বছর পড়াশোনা করেছেন। তার পিতার অবসর গ্রহণের পরেই তিনি প্রথমবারের জন্য আদালতে প্রবেশ করেন।
রাম মন্দির রায়ের পূর্বে কী করেছিলেন?
তিনি জানিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের উপর কাজের অত্যধিক চাপ থাকে এবং তা কাটিয়ে উঠার জন্য প্রতিটি বিচারকের নিজস্ব উপায় থাকে। তার ক্ষেত্রে ধ্যান এবং প্রার্থনা এই চাপ থেকে মুক্তির মাধ্যম। চন্দ্রচূড় বলেছেন যে, তিনি অযোধ্যা বিবাদে রায় দেওয়ার আগে ভগবান রামের কাছে প্রার্থনা করছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ধ্যান এবং প্রার্থনা তাকে শিক্ষা দিয়েছে যে, দেশের প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি নিরপেক্ষ থাকা অপরিহার্য।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাড়িতে আসার ব্যাপারে কী বলেছেন?
তাকে প্রশ্ন করা হলে যে, তার প্রধান ন্যায়াধীশ থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বাসভবনে এসেছিলেন, তিনি বলেছেন, "আমার মনে হয় আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এতটাই পরিপক্ক যে মানুষ বুঝতে পারে যে, উচ্চ সংবিধানিক পদাধিকারীদের মধ্যে যে শিষ্টাচার থাকে তার ন্যায়িক বিষয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।" তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এ ধরনের শিষ্টাচার সাক্ষাতের ন্যায়িক সিদ্ধান্তের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না।
ব্যক্তিগত স্বাধীনতার রক্ষা অগ্রাধিকার
প্রাক্তন CJI আরও বলেছেন যে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা সর্বদা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের চেষ্টা থাকে যাতে তাদের রায়ের মাধ্যমে ন্যায়পালিকার উপর জনগণের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। তিনি বলেছেন যে, ভারতীয় ন্যায়পালিকা সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ এবং তাদের সিদ্ধান্ত সংবিধানের নীতির উপর ভিত্তি করে গ্রহণ করা হয়।
