বীর জওয়ান দিলওয়ার খানকে মরণোত্তর কীর্তি চক্রে ভূষিত করা হয়েছে। কুপওয়ারা জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের সাথে সংঘর্ষে তিনি অসাধারণ সাহস দেখিয়ে একজন সন্ত্রাসবাদীকে ধরে এবং শহীদ হন।
কীর্তি চক্র দিলওয়ার খানকে: গণপ্রজাতন্ত্র দিবসের পূর্ব সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৯৩ জন সশস্ত্র বাহিনী ও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্মীদের বীরত্ব পুরস্কার প্রদানের অনুমোদন দেন, যার মধ্যে উন্না জেলার বীর জওয়ান দিলওয়ার খানকে মরণোত্তর কীর্তি চক্রে ভূষিত করা হয়।
কুপওয়ারায় শহীদ
দিলওয়ার খান নিজের জীবনের প্রতি কোনও তোয়াক্কা না করে ২৩ জুলাই ২০২৪-তে কুপওয়ারা জেলার এলওসি-র কাছে লোলাব উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের সাথে সংঘর্ষে শহীদ হন। তিনি ছিলেন ২৮ বছর বয়সী এবং বঙ্গানা উপমণ্ডলের ঘরওয়াসড়া গ্রামের বাসিন্দা।
দৃঢ় সাহসের উদাহরণ
নায়ক দিলওয়ার খান ২০ জানুয়ারী ২০১৪ সালে ১৮ বছর বয়সে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ২৩ জুলাই ২০২৪ সালে তিনি নাকা দলের সাথে মোতায়েন ছিলেন যখন তিনি দুই সন্ত্রাসবাদীকে দেখতে পান। যখন তিনি সন্ত্রাসবাদীদের ডাক দেন, তখন সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালাতে শুরু করে। দিলওয়ার খান নিজের জীবনের প্রতি কোনও তোয়াক্কা না করে একজন সন্ত্রাসবাদীকে ধরে ফেলেন, এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই সময় অন্য সন্ত্রাসবাদী গুলি চালিয়ে যায় এবং দিলওয়ার খান গুলিবিদ্ধ হন।
কীর্তি চক্র এবং অদম্য সাহস
তবুও, দিলওয়ার খান ধরা পড়া সন্ত্রাসবাদীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেননি এবং তাকে মেরে ফেলার পরেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অদম্য সাহস এবং সর্বোচ্চ বীরত্বের জন্য তাকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র প্রদান করা হয়েছে।
হরিমন শর্মাকে পদ্মশ্রী সম্মান
অন্যদিকে, বিলাসপুর জেলার ঘুমারবীন উপমণ্ডলের গালাসীন গ্রামের বাসিন্দা হরিমন শর্মাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি উষ্ণ অঞ্চলে ‘এইচআরএমএন-৯৯’ নামে একটি নতুন জাতের আপেল উদ্ভাবন করেছেন, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায়ও জন্মাতে পারে। এই উদ্ভাবন আপেল উৎপাদনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।