২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তার মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্রের খবর, আগামী বাজেট অধিবেশনের আগে মন্ত্রিসভায় ৬ থেকে ৭ জন নতুন মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাটনা: ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তার মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্রের খবর, আগামী বাজেট অধিবেশনের আগে মন্ত্রিসভায় ৬ থেকে ৭ জন নতুন মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্প্রসারণের মূল উদ্দেশ্য প্রশাসনিক ভারসাম্য স্থাপন এবং জাতিগত সমীকরণ স্থাপন করা।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের প্রধান বিষয়াবলী
* বিহার মন্ত্রিসভায় বর্তমানে মোট ৩০ জন মন্ত্রী রয়েছেন, যখন সর্বোচ্চ সীমা ৩৬।
* মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে ৬ থেকে ৭ জন নতুন মন্ত্রী যুক্ত হতে পারেন।
* বর্তমান মন্ত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দপ্তর নিয়ে নতুন মন্ত্রীদের দেওয়া হবে।
* ‘এক নেতা, এক পদ’ নীতি অনুসারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়ালকে মন্ত্রী পদ ত্যাগ করতে হতে পারে।
কোন কোন জাতিকে স্থান দেওয়া হবে?
নীতীশ সরকার এই সম্প্রসারণে জাতিগত সমীকরণের বিশেষ দিকে নজর দিচ্ছে। সম্ভাব্য জাতিগত প্রতিনিধিত্ব নিম্নরূপ হতে পারে:
* উচ্চবর্ণ: ২ জন মন্ত্রী (রাজপুত এবং ভূমিহার জাতি থেকে একজন করে)
* অতি পিছিয়ে পড়া শ্রেণী: ২ জন মন্ত্রী (তেলি জাতি থেকে একজন মন্ত্রী নিশ্চিত)
* পিছিয়ে পড়া শ্রেণী: ১ জন মন্ত্রী
কোন মন্ত্রীদের দপ্তরে পরিবর্তন সম্ভব?
* উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা (৩ টি দপ্তর)
* সন্তোষ সুমন (৩ টি দপ্তর)
* মঙ্গল পাণ্ডে, নীতীশ মিশ্র এবং প্রেম কুমার (২ টি করে দপ্তর)
বিজেপি ও জেডিইউ-র মধ্যে বণ্টন কেমন হবে?
বিজেপি কোটা থেকে ৩-৪ জন নতুন মন্ত্রী যুক্ত হতে পারেন। জেডিইউ কোটা থেকে ২-৩ জন নতুন মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী নির্বাচনকে লক্ষ্য করে সরকার সকল প্রধান জাতিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব দিতে চায়। পাশাপাশি, প্রশাসনিক কাজগুলিকে আরও কার্যকর করার জন্য দপ্তরীয় পুনর্গঠনও করা হবে। নীতীশ কুমারের এই কৌশল আগামী নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সমীকরণকে শক্তিশালী করার এবং বিভিন্ন শ্রেণীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।