বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস বড় ধরনের সাংগঠনিক পরিবর্তন এনেছে। দলটি দলিত নেতা এবং অরঙ্গাবাদ কুটুম্বা থেকে বিধায়ক রাজেশ কুমারকে বিহার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির নতুন সভাপতি নিযুক্ত করেছে।
পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস বড় ধরনের সাংগঠনিক পরিবর্তন এনেছে। দলটি দলিত নেতা এবং অরঙ্গাবাদ কুটুম্বা থেকে বিধায়ক রাজেশ কুমারকে বিহার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির নতুন সভাপতি নিযুক্ত করেছে। রাজ্যে অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং কংগ্রেস তাদের কৌশলগত সমীকরণ পুনর্গঠন করছে এমন সময়েই এই পরিবর্তন আসল।
বিহার কংগ্রেসে বড় পরিবর্তন
রাজেশ কুমার পূর্ববর্তী প্রদেশ সভাপতি এবং রাজ্যসভা সদস্য অখিলেশ প্রসাদ সিংহের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। কংগ্রেস হাইকমান্ড সংগঠনকে শক্তিশালী করার এবং আগামী নির্বাচনে নতুন উদ্দীপনার সাথে অংশগ্রহণ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে তাঁর নিযুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন, যা দলের দলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণীর ভোটারদেরকে শক্তিশালী করার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাজেশ কুমারকে সভাপতি করে কংগ্রেস ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা বিহারে জাতিগত সমীকরণগুলি বিবেচনা করে তাদের সংগঠনকে পুনর্গঠন করছে। এর আগে কংগ্রেসের উপর রাজদ-এর "বি দল" হওয়ার অভিযোগ ছিল, কিন্তু নতুন নেতৃত্বের সাথে দল তাদের স্বাধীন অস্তিত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস এখন "সংবিধান বাঁচাও" এবং জাতিগত জনগণনা ইত্যাদি বিষয়গুলির মাধ্যমে রাজ্যে তাদের জনসমর্থন বৃদ্ধির উপর ফোকাস করছে।
রাজনৈতিক কৌশলগত পরিবর্তন
বিহার কংগ্রেসে এই পরিবর্তন এমন সময়ে হয়েছে যখন সম্প্রতি কৃষ্ণ আল্লাভরুকে প্রদেশের এআইসিসি প্রভারী নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর আগমনের পর থেকে কংগ্রেস আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছে এবং ইঙ্গিত দিয়েছে যে দল গঠনবন্ধনী সহযোগীদের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
বিহারে কংগ্রেসকে বর্তমানে জাতীয় জনতা দল (রাজদ)-এর সাথে গঠবন্ধনে দেখা যায়, কিন্তু নতুন কৌশলের আওতায় দল একা নির্বাচন লড়াইয়ের সম্ভাবনাও খুঁজছে। এনডিএ-এর নেতারাও কংগ্রেসের এই নতুন রুখের উপর নজর রাখছেন, এবং ধারণা করা হচ্ছে যে যদি রাজদ গঠবন্ধনে তাদের প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা করে, তাহলে কংগ্রেস স্বাধীন কৌশল অবলম্বন করতে পারে।