ভারত ধর্মশালা নয়: শ্রীলঙ্কান নাগরিকের আশ্রয় আবেদন খারিজ

ভারত ধর্মশালা নয়: শ্রীলঙ্কান নাগরিকের আশ্রয় আবেদন খারিজ
সর্বশেষ আপডেট: 19-05-2025

সুপ্রিম কোর্ট শ্রীলঙ্কান নাগরিকের আশ্রয়ের আবেদন খারিজ করে বলেছে, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। কোর্ট বলেছে, দেশ ইতিমধ্যেই ১৪০ কোটি জনসংখ্যার চাপে আছে।

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে স্পষ্ট করে বলেছে যে, ভারত কোনও ধর্মশালা নয় যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া যাবে। এই মন্তব্যটি তখন আসে যখন একজন শ্রীলঙ্কান নাগরিক দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কোর্ট এই আবেদন পুরোপুরি খারিজ করে বলেছে যে, ভারত ইতিমধ্যেই ১৪০ কোটি জনসংখ্যার চাপে আছে, তাই প্রত্যেক বিদেশী নাগরিককে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।

শ্রীলঙ্কান নাগরিক এবং LTTE সংযোগ

এই আবেদনটি একজন শ্রীলঙ্কান নাগরিকের ছিল যাকে ২০০৫ সালে ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার উপর অভিযোগ ছিল যে তিনি LTTE (লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম)-এর সাথে জড়িত ছিলেন, যা একসময় শ্রীলঙ্কায় সক্রিয় একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ছিল। গ্রেফতারির পর তার বিরুদ্ধে UAPA (Unlawful Activities Prevention Act) এবং Foreigners Act-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়।

কোর্টে আবেদন

আবেদনকারী আদালতের কাছে অনুরোধ করেছিলেন যে, যদি তাকে শ্রীলঙ্কায় ফেরত পাঠানো হয় তবে তার জীবন বিপন্ন হবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে, তিনি ভারতে একটি শরণার্থী শিবিরে থাকতে চান কারণ শ্রীলঙ্কায় তার জীবন নিরাপদ নয়। তিনি অনুরোধ করেছিলেন ভারত তাকে আশ্রয় দিক।

সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট মন্তব্য

শুনানির সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে কঠোর মন্তব্য করে। তারা বলেছিলেন- ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের ১৪০ কোটি নাগরিকের সাথে সংগ্রাম করছি। আমরা কি সকলকে এখানে থাকার অনুমতি দিতে পারি?

কোর্ট আরও বলেছে যে, যদি তোমার বিপদ হয়, তাহলে "অন্য কোনও দেশে চলে যাও"।

দণ্ড এবং আইনগত প্রক্রিয়া

এই ব্যক্তিকে একটি হত্যা মামলায় ভারতে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা তিনি এখন শেষ করেছেন। ২০০৮ সালে ট্রায়াল কোর্ট UAPA-এর অধীনে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে ২০২২ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার সাজা কমিয়ে ৭ বছর করে দিয়েছে।

হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছিল যে, সাজা শেষ হওয়ার পর তাকে ভারত ত্যাগ করতে হবে, কিন্তু নির্বাসনের আগে তিনি শরণার্থী শিবিরে থাকতে পারবেন।

Leave a comment