ভারত-পাকিস্তান DGMO-র হটলাইন আলোচনা: যুদ্ধবিরতি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী ব্যবস্থা

ভারত-পাকিস্তান DGMO-র হটলাইন আলোচনা: যুদ্ধবিরতি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী ব্যবস্থা
সর্বশেষ আপডেট: 12-05-2025

ভারত ও পাকিস্তানের DGMO আজ দুপুর ১২টায় হটলাইনে আলোচনা করবে। যুদ্ধবিরতি জোরদার করা, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে।

India Pak Ceasefire: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার পর আজ দুই দেশের সামরিক অভিযান মহানির্দেশক (DGMO) আবারও হটলাইনে আলোচনা করতে যাচ্ছেন। এই আলোচনা ১২ই মে ২০২৫, দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য হল দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) চুক্তিকে কার্যকর ও জোরদার করা।

পূর্ববর্তী ঘটনার পর প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক

এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়েছিল। এই সামরিক অভিযানে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) অবস্থিত অনেক সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযানে

  • নয়টি সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংস করা হয়েছে,
  • ১০০-এরও বেশি সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে,
  • ইউসুফ আজহর, আব্দুল মালিক রউফ এবং মুদাসির আহমদ-এর মতো উচ্চ মূল্যের লক্ষ্যবস্তুও নিহত হয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতার উপর প্রভাব

  • ভারতের আক্রমণে পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতায় ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে।
  • পাকিস্তানের ১১টি বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
  • সামরিক অবকাঠামোতে আক্রমণ করে ভারত তার সামরিক শক্তির প্রদর্শন করেছে।

যদিও ১০ই মে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল, তবুও সীমান্তে গুলিবর্ষণ ও ড্রোন আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

ভারতের কঠোর সতর্কতা ও প্রতিক্রিয়া

যুদ্ধবিরতির পরও এই ঘটনাগুলিতে ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে যেকোনো কর্মকাণ্ডের “পর্যাপ্ত ও যথাযথ” জবাব দিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কোনও ধরণের উসকানির তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া হবে।

আজকের DGMO বৈঠক থেকে কী আশা করা যায়?

ভারত ও পাকিস্তানের DGMO পর্যায়ের এই আলোচনা বহুমুখীভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকে প্রধানত এই বিষয়গুলিতে আলোচনা হবে:

  1. যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা
  2. সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা
  3. সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি
  4. ড্রোন আক্রমণ ও গুলিবর্ষণের উপর নজরদারি বাড়ানো

সংবাদ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

সূত্রের খবর, DGMO আলোচনার পর দুই দেশের তিনটি সেনাবাহিনীর (থলসেনা, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন। সেখানে সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক অভিযান, সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে আক্রমণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে।

বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরির নিশ্চয়তা

ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি এই আলোচনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন যে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার ধারা অব্যাহত থাকবে। বিক্রম মিসরি বলেছেন:
"যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য দুই দেশকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। DGMO পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।"

Leave a comment