অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি খানকে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে অপমানজনক পোস্ট করার অভিযোগে ১৪ দিনের ন্যায়িক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। হরিয়ানা পুলিশের তদন্ত চলছে, সেনা সম্মানের বিষয়টি উত্তাল।
অধ্যাপক আলি খান: হরিয়ানার মাহমুদাবাদ निवासी এবং অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আলি খানকে ‘অপারেশন সিন্দুর’ সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে ১৪ দিনের ন্যায়িক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাটি সেই পোস্টের সাথে সম্পর্কিত, যা ভারতীয় সেনার পাকিস্তানে সফল অভিযান ‘অপারেশন সিন্দুর’ সম্পর্কে অধ্যাপক সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন।
কী ছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’?
‘অপারেশন সিন্দুর’ ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বৃহৎ সামরিক অভিযান, যা জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগাম হামলার পর পাকিস্তানে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনী বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে সফল হয়, যার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই অভিযানের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহও উপস্থিত ছিলেন, যারা দেশবাসীকে অভিযানের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছিলেন।
অধ্যাপক আলি খানের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
অধ্যাপক আলি খানের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে সেনাবাহিনীর মর্যাদা ও সম্মানের বিরুদ্ধে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে, তিনি অভিযানে অংশগ্রহণকারী নারী কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহের প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। এই কারণে তাঁর উপর অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং নারী সামরিক কর্মকর্তাদের অপমান করেছেন, যা সেনাবাহিনীর মনোবলকে প্রভাবিত করতে পারে।
পুলিশের দাবি এবং আদালতের রায়
হরিয়ানা পুলিশ অধ্যাপক আলি খানকে সাত দিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল, যাতে তাঁর সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। কিন্তু সোনিপত আদালত পুলিশের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে ১৪ দিনের ন্যায়িক হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে আদালত পুলিশি রিমান্ডের পরিবর্তে ন্যায়িক হেফাজতকে বেশি উপযুক্ত বলে মনে করেছে।
এই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে
অধ্যাপক আলি খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত পুলিশ কর্তৃক এখনও চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হওয়ার পর যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনাটি এই বিষয়টিতেও আলোকপাত করে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট এবং মন্তব্য কতটা আইনি এবং নৈতিক দায়িত্বের আওতায় পড়ে।