ডঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের প্রেস সচিব এস.এম. খান আর নেই

ডঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের প্রেস সচিব এস.এম. খান আর নেই
সর্বশেষ আপডেট: 20-01-2025

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডঃ এ. পি. জে. আব্দুল কালামের সাবেক প্রেস সচিব এস. এম. খান তাঁর সাথে কাটা সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে "পিপলস প্রেসিডেন্ট" নামে একটি বই লিখেছেন। এই বইতে ডঃ কালামের ব্যক্তিত্ব, কার্যশৈলী এবং সরল জীবনযাপন তুলে ধরা হয়েছে।

নয়াদিল্লি: ভারতীয় প্রশাসনিক সেবা (IAS) এর সাবেক কর্মকর্তা এস. এম. খান রবিবার একটি ব্যক্তিগত হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর পরিবার এই তথ্য জানিয়েছে। এস. এম. খান সাবেক রাষ্ট্রপতি ডঃ এ. পি. জে. আব্দুল কালামের প্রেস সচিব হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (CBI) তেও তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ১৯৮৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি এজেন্সির তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন।

সিবিআই-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন খান

কার্যকালে এস. এম. খান সিবিআই-এর মুখ হিসেবে পরিচিত হন এবং বোফোর্স দুর্নীতি, স্টক এক্সচেঞ্জ দুর্নীতি এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ মামলার সময় নিয়মিতভাবে সংবাদমাধ্যমকে বক্তব্য দিয়েছেন। সিবিআইতে দীর্ঘদিন কাজ করার পর তাঁকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ. পি. জে. আব্দুল কালামের প্রেস সচিব নিযুক্ত করা হয়। এই ভূমিকায় তিনি জনসংযোগ এবং প্রশাসনিক দক্ষতার ক্ষেত্রে তাঁর খ্যাতি আরও দৃঢ় করেছেন। প্রশাসনিক সেবার পাশাপাশি খান জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক এবং পরিচালক হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

এস. এম. খানের কর্মজীবন

এস. এম. খানের কর্মজীবন ছিল জনসেবার ক্ষেত্রে অসাধারণ। ডঃ এ. পি. জে. আব্দুল কালামের প্রেস সচিব হওয়ার পর তিনি দূরদর্শনে নিউজ ডিরেক্টর হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। জনসেবার পাশাপাশি খান "পিপলস প্রেসিডেন্ট" নামে একটি বইও লিখেছেন, যার উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর খানকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু তাঁর স্বাস্থ্যের কোন উন্নতি হয়নি এবং তিনি মারা গেছেন। তিনি ৬৭ বছর বয়সী ছিলেন এবং তাঁর পরিবারে তাঁর স্ত্রী এবং তিন ছেলে রয়েছে। তাঁর শেষকৃত্য বুলন্দশহরের তাঁর গ্রামের বাড়ি খুরজায় আজ (সোমবার) দুপুরে সম্পন্ন হবে। খান শুধুমাত্র তাঁর কর্মজীবনেই নয়, ব্যক্তিত্বের মাধ্যমেও অনেক মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান, নম্রতা এবং দয়াবান স্বভাব তাঁকে তাঁর আশেপাশের মানুষের কাছে একজন অনুপ্রেরণার উৎস করে তুলেছে।

Leave a comment