এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের ১লা এপ্রিল থেকে ইকোনমি ক্লাসে যাত্রার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে প্রিমিয়াম সিটগুলি গ্রাহকদের জন্য উপলব্ধ থাকে। টাটা গোষ্ঠী উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করছে।
Air-India: এয়ার ইন্ডিয়া তাদের সমালোচনা ও দুর্বল সেবা-চিত্রের উন্নয়নের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। কোম্পানি ১লা এপ্রিল থেকে সকল কর্মীদের ইকোনমি ক্লাসে যাত্রার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের প্রিমিয়াম সিটের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা এবং খালি সিট না রাখা। এয়ারলাইন জানিয়েছে, কর্মীরা শুধুমাত্র ৫০ মিনিট আগে পর্যন্ত যদি সেই সিট বুক না হয় তবেই প্রিমিয়াম ইকোনমি এবং বিজনেস ক্লাসের সিট পাবেন।
গ্রাহক-কেন্দ্রিক সংস্কৃতির প্রসারের চেষ্টা
এয়ারলাইনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, "প্রিমিয়াম সিটের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং আমরা চাই আমাদের প্রিমিয়াম সিটগুলি সবার আগে গ্রাহকদের জন্য উপলব্ধ থাকুক।" এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এয়ার ইন্ডিয়ার গ্রাহক-কেন্দ্রিক সংস্কৃতির প্রসার ঘটছে এবং কোম্পানি তাদের চিত্র উন্নয়নের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
টাটা গোষ্ঠীর অধিগ্রহণের পর এয়ার ইন্ডিয়ায় উন্নয়ন
২০২২ সালে সরকার থেকে এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণের পর টাটা গোষ্ঠী এয়ারলাইনে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। টাটা গোষ্ঠী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানবহর উন্নত করেছে, নতুন জেট অর্ডার করেছে এবং কোম্পানির লোগোও পরিবর্তন করেছে। এছাড়াও, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ সেবার উন্নয়নের জন্যও অর্ধেক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
সেবার সমালোচনার মুখোমুখি
তবে, এয়ার ইন্ডিয়ার সেবা নিয়ে সমালোচনাও উঠেছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার এয়ার ইন্ডিয়ার সমালোচনা করেছেন। ওয়ার্নার জানিয়েছিলেন, বিমানে উঠার পর তিনি জানতে পারেন যে ফ্লাইটে পাইলট নেই, যার ফলে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও সমালোচনা
এইরকমই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্বল সেবার শিকার হয়েছেন। ভোপাল থেকে দিল্লি যাওয়ার সময় তিনি ভাঙা সিট পেয়েছিলেন। এই ঘটনার পর তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার সেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদিও পরে এয়ারলাইন ক্ষমা চেয়েছে।
