আচার্য ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর জীবনের সংগ্রাম ও হনুমানজীর কৃপা

আচার্য ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর জীবনের সংগ্রাম ও হনুমানজীর কৃপা
সর্বশেষ আপডেট: 29-03-2025

আচার্য ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী নিজের কঠিন অতীত ও সংগ্রামের কথা স্মরণ করে হনুমানজীর কৃপায় জীবনে আসা পরিবর্তনের কথা শুনিয়েছেন এবং মেরঠবাসীদের ভক্তিতে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাগেশ্বর ধাম বাবা: আচার্য ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী কথার চতুর্থ দিনে নিজের সংগ্রামময় জীবনের দিনগুলি স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি জানান, কিভাবে ১৮ বছর আগে তিনি ভিক্ষা করে ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়াতেন এবং কীভাবে আট বছর ধরে ভিক্ষা করে কঠিন পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করেছেন।

ভিক্ষা থেকে হনুমানজীর কৃপা পর্যন্ত যাত্রা

আচার্য শাস্ত্রী জানান, দীপাবলীর দিন খাবারের সংকট হতো এবং ঘরের ছাদ থেকে পানি ঝরত। তিনি নিজের বোনের বিয়েতে ২০ হাজার টাকা ধার করেছিলেন এবং এক একর কৃষিজমি বন্ধক রাখতে হয়েছিল। এই কঠিন সময়ের কথা বর্ণনা করে আচার্য শাস্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং চোখের জল মুছে বলেন, সেই দিনগুলি তিনি আজও ভুলতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর প্রবচন শুনতে আসেন, যারা একসময় তাঁর কথা শোনার জন্য সরপঞ্চের কাছে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করত।

হনুমানজীর কৃপায় পরিবর্তিত জীবন

আচার্য শাস্ত্রী বলেন, এ সব হনুমানজীর কৃপা ও প্রতাপের ফল। তিনি মেরঠবাসীদের অনুরোধ করেন, তারাও হনুমানজীর আশ্রয় নিন এবং নিজেদের জীবন সফল করুন। তিনি উদাহরণ হিসেবে সচিন তেন্ডুলকার, আব্রাহাম লিংকন এবং বারাক ওবামার কথা উল্লেখ করেন, যাদের সাদামাটা জীবন ও সংগ্রাম তাদের বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে।

সমাজসেবা ও সমূহীয় বিবাহের আয়োজন

আচার্য শাস্ত্রী জানান, তিনি নিজের বোনের বিয়েতে যে কষ্ট পেয়েছিলেন, তা আর কেউ যেন না পায়, সেজন্য তিনি প্রতি বছর বাগেশ্বর ধামে দরিদ্র মেয়েদের সমূহীয় বিয়ে করান।

কথার শেষে, আচার্য শাস্ত্রী অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেন, তারা তাদের সন্তানদের ভালো সংস্কার দিন। তিনি বলেন, সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া জরুরি, যাতে তারা আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

Leave a comment