কেরলের নার্সিং কলেজে তিন মাসব্যাপী র‌্যাগিং: ৫ ছাত্র গ্রেফতার

কেরলের নার্সিং কলেজে তিন মাসব্যাপী র‌্যাগিং: ৫ ছাত্র গ্রেফতার
সর্বশেষ আপডেট: 12-02-2025

কেরলের সরকারি নার্সিং কলেজে তিন মাস ধরে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের উপর র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পাঁচ আসামী ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সাসপেন্ড করেছে।

Kerala Horror Ragging: কেরলের কোট্টায়াম অবস্থিত একটি সরকারি নার্সিং কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সাথে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। তিন মাস ধরে চলা এই অমানবিক আচরণের অভিযোগের পর পাঁচজন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে, নভেম্বর মাস থেকে তাদের উপর ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল।

তিন মাস ধরে চলেছে র‍্যাগিংয়ের অত্যাচার

তীরুবনন্তপুরমের তিনজন প্রথম বর্ষের ছাত্র কোট্টায়ামের গান্ধীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তারা জানিয়েছে, নভেম্বর মাস থেকে তাদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। আসামী ছাত্রদের কলেজ কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করেছে এবং অ্যান্টি-র‍্যাগিং আইনের অধীনে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

নগ্ন করে দাঁড় করানো, জ্যামিতি বক্স দিয়ে আক্রমণ

ভুক্তভোগীদের কথা অনুযায়ী, অভিযুক্ত ছাত্ররা তাদের নগ্ন করে দাঁড় করানোর জন্য বাধ্য করেছে এবং জ্যামিতি বক্স দিয়ে আক্রমণ করেছে। এরপর তাদের আঘাতের জায়গায় লোশন লাগিয়েছে, যার ফলে তাদের কষ্ট আরও বেড়েছে। যখন ব্যথায় কাতর হয়ে তারা চিৎকার করতে শুরু করে, তখন তাদের মুখে জোর করে লোশন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভিডিও করে ভয়ভীতি দেখানো

অভিযুক্ত ছাত্ররা এই সমস্ত নির্যাতনের ভিডিওও করেছে এবং ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়েছে যে যদি তারা কারও সাথে অভিযোগ করে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে।

মদ্যপানের জন্য জোরপূর্বক টাকা আদায়

ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা আরও জানিয়েছে যে, সিনিয়র ছাত্ররা প্রতি রবিবার মদ কিনতে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। যদি কেউ টাকা দেওয়ার জন্য অস্বীকার করে, তাকে আরও বেশি নির্যাতন করা হত।

পরিবারের সাহায্যে অভিযোগ দায়ের

এদের মধ্যে একজন ছাত্র আর এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি তার পিতাকে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছেন। এরপর তার পিতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পাঁচজন অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে এবং এখন তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পদক্ষেপ

কলেজ কর্তৃপক্ষও এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং অভিযুক্তদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করেছে। পুলিশ অ্যান্টি-র‍্যাগিং আইনের অধীনে মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a comment