নেটফ্লিক্সের ‘ডাব্বা কার্টেল’: শাবানা আজমি ও শালিনী পাণ্ডের অসাধারণ অভিনয়

নেটফ্লিক্সের ‘ডাব্বা কার্টেল’: শাবানা আজমি ও শালিনী পাণ্ডের অসাধারণ অভিনয়
সর্বশেষ আপডেট: 01-03-2025

নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডাব্বা কার্টেল’ ধারাবাহিকে শ্বাশুড়ি-বৌয়ের জুটি শাবানা আজমি ও শালিনী পাণ্ডে রান্নাঘর থেকে অপরাধের জগতে পৌঁছেছে। দেখার আগে পর্যালোচনা অবশ্যই পড়ুন!

ছবির পর্যালোচনা

নাম: ডাব্বা কার্টেল
রেটিং: ⭐⭐☆ (২.৫/৫)
অভিনয়শিল্পী: শাবানা আজমি, নিমিষা সজয়ন, শালিনী পাণ্ডে, জিশু সেনগুপ্ত, গজরাজ রাও, সাই তামহঙ্কর, ভূপেন্দ্র জাদাবত, সুষ্মিতা মুখোপাধ্যায়, লিলেট দুবে
পরিচালক: হিতেশ ভাটিয়া
প্রযোজক: N/A
লেখক: N/A
মুক্তির তারিখ: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্ল্যাটফর্ম: নেটফ্লিক্স (Netflix)
ভাষা: হিন্দি
বাজেট: N/A

‘ডাব্বা কার্টেল’-এর গল্প কী?

‘ডাব্বা কার্টেল’ একটি রোমাঞ্চকর ওয়েব সিরিজ যা মাদক মাফিয়ার উপর নির্মিত। এটি নারীদের অপরাধের জগতে পা দেওয়ার গল্প তুলে ধরে। সাধারণত মাদক ব্যবসায়ীরা পুরুষ হলেও এই সিরিজে নারীদের জীবনের সংগ্রাম ও বাধ্যবাধকতা তুলে ধরা হয়েছে। গল্পে রাজি (শালিনী পাণ্ডে) তার স্বামীকে বিদেশে পাঠানোর স্বপ্ন পূরণের জন্য রান্নার ব্যবসা শুরু করে। তার ঘরের কাজের মেয়ে মালা (নিমিষা সজয়ন) তার সঙ্গে থাকে। কিন্তু গল্পে বড় মোড় আসে যখন রাজির প্রেমিক সন্তোষ তাকে মাদক সরবরাহ করতে বাধ্য করে।

রাজি ধীরে ধীরে এই কালো ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। যখন তার শ্বাশুড়ি শীলা (শাবানা আজমি) তার সত্যতা জানতে পারে, তখন সেও এই খেলায় যোগ দেয়। শীলা তার অভিজ্ঞতা ও চালাকির সাহায্যে মাদক মাফিয়ার এই খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আকর্ষণীয় চরিত্র এবং তাদের ভূমিকা

গল্পে আরও অনেক নতুন চরিত্র যুক্ত হয় যা এটিকে আরও রোমাঞ্চক করে তোলে।

শাবানা আজমি (শীলা): একজন চালাক ও অভিজ্ঞ মহিলা যিনি মাদকের জগতে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন।

শালিনী পাণ্ডে (রাজি): পরিবারের প্রয়োজনের কারণে অপরাধের জগতে পা দেওয়া এক গৃহবধূ।

নিমিষা সজয়ন (মালা): একজন সাহসী ঘরের কাজের মেয়ে, যিনি রাজির পাশে সব সময় থাকে।

জিশু সেনগুপ্ত: ভয়ঙ্কর ফার্মা কোম্পানি ‘ভাইভাইফ’-এর বস।

গজরাজ রাও: একজন ধূর্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সাই তামহঙ্কর: একজন সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা।

ভূপেন্দ্র জাদাবত: বিদেশে বদলি পাওয়ার স্বপ্ন দেখা এক কর্মকর্তা।

সুষ্মিতা মুখোপাধ্যায়: চালাক প্রতিবেশী, যিনি সবকিছুতে নজর রাখে।

লিলেট দুবে: সাউথ বোম্বেয়ের প্রভাবশালী মহিলা।

সিরিজে মোড় ও ঘটনাপ্রবাহ

যখন শীলা (শাবানা আজমি) এই ব্যবসায় ফিরে আসে, তখন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। শ্বাশুড়ি-বৌয়ের এই জুটি শুধুমাত্র লাভের জন্য নয়, বরং অস্তিত্ব রক্ষার জন্যও লড়াই করে।

গল্প এগোতে থাকলে দর্শকরা অনেক মোড় ও ঘটনাপ্রবাহ দেখতে পান।

পুলিশ কর্মকর্তা এই ব্যবসার তদন্ত শুরু করে।

মাদক মাফিয়ার প্রবীণরা রাজি ও মালার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।

শীলা তার চালাকির সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।

অভিনয় ও পরিচালনা

অসাধারণ অভিনয়:

শাবানা আজমি তার দারুণ অভিনয় দিয়ে গোটা গল্পে প্রাণের সঞ্চার করেছেন। তার অভিনয় অসাধারণ ও প্রভাবশালী।

শালিনী পাণ্ডে রাজির চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন এবং তার বাধ্যবাধকতাগুলিকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

নিমিষা সজয়ন ঘরের কাজের মেয়ের চরিত্রটি অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

গজরাজ রাও ও সাই তামহঙ্করও তাদের চরিত্রে পুরোপুরি মানিয়ে গেছেন।

পরিচালনা:

হিতেশ ভাটিয়া একটি আলাদা ও অনন্য গল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। তবে কিছু জায়গায় গল্প কিছুটা টানাটানি মনে হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে পরিচালনা সন্তোষজনক।

সিরিজটি দেখা উচিত কি না?

যদি আপনি অপরাধ, মাদক মাফিয়া এবং রোমাঞ্চক গল্প পছন্দ করেন, তাহলে এই সিরিজটি আপনার জন্য ভালো হতে পারে। তবে যদি আপনি দ্রুতগতির অপরাধ থ্রিলারের আশা করেন, তাহলে কিছু জায়গায় গল্প ধীর মনে হতে পারে।

রেটিং: ⭐⭐☆ (২.৫/৫)

✅ ইতিবাচক দিক: অসাধারণ অভিনয়, আকর্ষণীয় প্লট, নারীকেন্দ্রিক গল্প।
❌ নেতিবাচক দিক: গল্পে কিছুটা টানাপোড়েন, কিছু জায়গায় গতি ভেঙে যায়।

শেষ কথা: যদি আপনি অপরাধ নাটকের ভক্ত হন, তাহলে একবার দেখতে পারেন। কিন্তু এটি সর্বোত্তম অপরাধ থ্রিলারের মধ্যে একটি নয়।

Leave a comment