মিসন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং চলতি বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত (মোস্ট অ্যান্টিসিপেটেড) ছবিগুলির মধ্যে একটি ছিল এবং দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে এটি সফল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
Mission Impossible 8 Worldwide Collection: হলিউডের বিখ্যাত স্পাই থ্রিলার সিরিজ ‘মিসন ইম্পসিবল’ এর অষ্টম কিস্তি "মিসন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং" বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। টম ক্রুজের তারকাজ্য এবং অ্যাকশন দৃশ্যগুলির কারণে এই ছবিটি মাত্র ১৩ দিনের মধ্যেই আয়ের ক্ষেত্রে অনেক বড় ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ছবিটি নিয়ে তেমন কোনো হাইপ ছিল না, কিন্তু যতই মুখে মুখে ছবির প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে, ততই টিকিট বিক্রির গতি বেড়েছে।
১৩ দিনে ১৮৫০ কোটি টাকার ঝড়
থিয়েটারে মুক্তির মাত্র ১৩ দিনের মধ্যেই এই ছবিটি বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১৮৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বললে, ছবিটি ১১৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে। এই সংখ্যাটি দেখায় যে টম ক্রুজের জনপ্রিয়তা এখনও বিশ্বের প্রতিটি কোণে বিরাজমান এবং দর্শকরা তাকে বড় পর্দায় দেখার জন্য উন্মুখ।
টম ক্রুজের এই ছবিটি শুধুমাত্র আমেরিকা এবং ইউরোপেই নয়, ভারতেও চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছে। দুই সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই এটি ভারতে ৮১ কোটি টাকা আয় করেছে, যা যে কোনও হলিউড ছবির জন্য একটি চমৎকার সংখ্যা। বিশেষ করে, ভারতেও এই ছবিটি "ভুল চুক মাফ" এর মতো অন্যান্য হলিউড ছবিগুলিকে আয়ের ক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গেছে।
ফাইনাল ডেস্টিনেশনকে পেছনে ফেলে
বক্স অফিসে এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে যখন হলিউডের জনপ্রিয় হরর ফ্র্যাঞ্চাইজি-এর নতুন ছবি "ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইন্স" ইতিমধ্যেই থিয়েটারে চলছিল। এই ছবিটি ১৫ মে মুক্তি পেয়েছিল এবং ১৪ দিনে ১৭০০ কোটি টাকা আয় করেছিল। কিন্তু "মিসন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং" মাত্র ১৩ দিনে তাকে ছাড়িয়ে গিয়ে ১৮৫০ কোটি টাকা আয় করেছে, যা থেকে স্পষ্ট যে টম ক্রুজের প্রতিদ্বন্দ্বী শুধুমাত্র টম ক্রুজই হতে পারেন।
অ্যাকশন, থ্রিল এবং ক্রুজের কেরামতি
ছবিটির সবচেয়ে বড় শক্তি হল এর চিত্রনাট্য, উচ্চ-স্তরের অ্যাকশন এবং টম ক্রুজের দুর্দান্ত অভিনয়। ক্রুজ আবারও প্রমাণ করেছেন যে বয়স তার কাছে শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। ছবিতে তার স্টান্ট দৃশ্যগুলি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এমনকি অনেক দর্শক এটিকে ফ্র্যাঞ্চাইজির এখন পর্যন্ত সেরা ছবি বলে অভিহিত করেছেন।
কী কারণে এত জনপ্রিয়তা?
ছবিটির সাফল্যের পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে:
- টম ক্রুজের তারকা জনপ্রিয়তা
- চমৎকার ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস এবং লোকেশন
- মজবুত গল্প এবং চিত্রনাট্য
- ফ্র্যাঞ্চাইজির পূর্ববর্তী ছবিগুলির সাথে সংযুক্ত আবেগ
- মুখে মুখে প্রচার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিবাচক পর্যালোচনা
ছবিটির আয়ের গ্রাফ এখনও থেমে নেই। ট্রেড বিশ্লেষকদের মতে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ছবিটি ২০০০ কোটি টাকার আঙ্কন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, ছবির দ্বিতীয় অংশ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে, যা এই সিরিজকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।