সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী রাজ্যপালের কাছে পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ज्ञাপন

সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী রাজ্যপালের কাছে পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ज्ञাপন
সর্বশেষ আপডেট: 12-06-2025

সেনার সাবেক কর্মকর্তা কর্নেল জসবন্ত সিং বাঠের স্ত্রী তার স্বামীর সাথে পুলিশের দ্বারা হওয়া মারধর ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বনভারীলাল পুরোহিতের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের গ্রেফতার এবং পুলিশ সংস্কারের দাবিতে রাজ্যপালকে একটি তিন-দফা ज्ञাপন পেশ করেছেন।

এই সাক্ষাৎ কেবলমাত্র প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন তৈরি করেনি, বরং একবার আবার প্রশ্ন তুলে ধরেছে যে, সেনা থেকে অবসর গ্রহণের পরও কি আমাদের সৈনিকরা সম্মানের সাথে জীবনযাপন করতে পারছেন?

সম্পূর্ণ ঘটনা কি?

কর্ণেল জসবন্ত সিং বাঠ, যিনি সেনা থেকে অবসর গ্রহণের পর পাঞ্জাবের একটি ছোট শহরে পরিবারের সাথে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করছিলেন, সম্প্রতি একটি বিবাদের সময় স্থানীয় পুলিশের দ্বারা অভিযোগ মোতাবেক পিটিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে যে এটি কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই হয়েছিল এবং বাঠ গুরুতর শারীরিক আঘাত পেয়েছেন। তাঁর স্ত্রী মিডিয়ার সাথে কথা বলে জানিয়েছেন, “আমার স্বামী তাঁর জীবনের ৩০ বছর দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু একটি সামান্য বিবাদের জন্য পুলিশ তাঁকে অপমান করেছে, বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে এবং পরিবারকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। এটা অগ্রহণযোগ্য।”

রাজ্যপালকে তিন-দফা পত্র প্রদান

  • রাজভবনে রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎকালে কর্নেল বাঠের স্ত্রী একটি তিন-দফা ज्ञাপন পেশ করেছেন, যাতে নিম্নলিখিত প্রধান দাবী করা হয়েছে:
  • দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও স্থগিতাদেশ: তিনি দাবী করেছেন যে কর্নেল বাঠের সাথে অসদাচরণকারী পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে আইপিসির ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা উচিত।
  • ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত: এটা দাবী করা হয়েছে যে, এই সমগ্র ঘটনার তদন্ত কোনো স্বাধীন সংস্থা, যেমন রাজ্য মানবাধিকার কমিশন বা সিবিআই কর্তৃক করা উচিত, যাতে কোন রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক চাপ না পড়ে।
  • পুলিশ সংস্কার এবং সৈনিক পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: তিনি অনুরোধ করেছেন যে রাজ্য সরকার এই ধরণের ঘটনার মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশিকা জারি করুক, যাতে সাবেক সৈনিক এবং তাদের পরিবারের সম্মান বজায় থাকে।

গভর্নরের প্রতিক্রিয়া

রাজ্যপাল বনভারীলাল পুরোহিত গুরুত্বের সাথে এই ज्ञাপন গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন, “সাবেক সামরিক কর্মকর্তা দেশের সম্মান। তাদের সাথে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে এটি কেবলমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং সমগ্র ব্যবস্থার জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমি এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী এবং গৃহ বিভাগের কাছে উপস্থাপন করব।” এই ঘটনা এখন কেবলমাত্র ব্যক্তিগত কষ্টের বিষয় নয়, বরং আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সাবেক সামরিক কর্মী সংগঠন, সমাজকর্মী এবং মানবাধিকার গোষ্ঠী কর্নেল বাঠের সমর্থনে বিবৃতি জারি করেছে।

সাবেক মেজর ও সমাজকর্মী মেজর হরপাল সিং (অব.) বলেছেন, “আজ যদি একজন কর্নেলের সাথে এটা হতে পারে, তাহলে সাধারণ নাগরিকের অবস্থা কী হবে? পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে।”

বিরোধী দলও এই বিষয়ে সরকারকে ঘেরাও করেছে। একজন জ্যেষ্ঠ বিধায়ক বিধানসভায় দাবী করেছেন যে এই ঘটনার উপর অবিলম্বে নজর দেওয়া উচিত এবং পুলিশ প্রশাসনের জবাবদিহিতা নির্ধারণ করা উচিত।

Leave a comment