হরিয়ানায় আন্তঃরাষ্ট্রীয় উত্তেজনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো একটা গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। রেওয়াড়ি জেলায় এক আরটিও বিভাগের গার্ডকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারধর করা হয়েছে যখন সে একটি ওভারলোড ট্রাককে চেক করার জন্য থামিয়েছিল। ট্রাক চালক শুধু গার্ডের সাথে অসভ্য ব্যবহারই করেনি, তার সাথে সাথে তার সঙ্গীদের ডেকে এনে আক্রমণও করেছে।
এই আক্রমণের আরও একটা চাঞ্চল্যকর দিক হল, চালক গার্ডের রাজস্থানের পরিচয়কেই বিষয় বানিয়েছে। সে বলেছে, "তুই রাজস্থান থেকে, এটা হরিয়ানা, ট্রাকে কেন উঠেছিস?" এই বক্তব্য এখন প্রশাসনিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
সম্পূর্ণ ঘটনা কী ছিল?
ঘটনাটি প্রায় সন্ধ্যা ৫:৩০ টার দিকে ঘটে। আরটিও বিভাগের একটি দল রেওয়াড়ি জেলার কাছে একটি ওভারলোড ট্রাককে চেক করার জন্য থামিয়েছিল। ট্রাকে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে নির্মাণ সামগ্রী ভর্তি ছিল, যা স্পষ্টতই মোটর ভেহিকল আইনের লঙ্ঘন। গার্ড যখন ট্রাক থামিয়ে কাগজপত্র চেয়েছিল, চালক প্রতিবাদ শুরু করে।
যখন গার্ড ট্রাকে উঠে ওজন পরিমাপের যাচাই করতে চেয়েছিল, চালক রেগে গিয়ে বলে, "তুই রাজস্থানের হয়ে হরিয়ানায় ট্রাকে কেন উঠেছিস?" গার্ড যখন বোঝানোর চেষ্টা করে, চালক ফোন করে তিন-চারজন সঙ্গীকে সেখানে ডেকে আনে।
আক্রমণ এবং ভয়ের পরিবেশ
চালকের সঙ্গীরা সেখানে এসে গার্ডকে লাথি, মুষ্ট্যাঘাত এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারধর করে। মারধর এতটাই ভয়াবহ ছিল যে গার্ডকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। অন্যদিকে, আরটিও দলের অন্যান্য সদস্যরা somehow বাঁচিয়ে পুলিশে খবর দেয়। আক্রমণের পর ট্রাক চালক ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ গার্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ধারা ১৪৭, ১৪৯, ১৮৬, ৩৩২, ৩৫৩ আইপিসির অধীনে মামলা দায়ের করেছে।
জাতি ও আঞ্চলিকতার বিষ?
ঘটনার পর এমন প্রশ্নও উঠেছে যে, চালকের রাজস্থান বিরোধী মন্তব্য শুধু রাগে বলা হয়েছে নাকি এর পিছনে কোনও পূর্বগ্রাহী বা জাতিগত চিন্তাভাবনা কাজ করেছে। এই ধরণের আন্তঃরাষ্ট্রীয় বক্তব্য শুধু সরকারি কার্যক্রমে বাধা দেয় না, এটি সংবিধানের মূলনীতির বিরুদ্ধেও। রেওয়াড়ির আরটিও কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমাদের দল বিধি মেনে ট্রাকের চেকিং করছিল। ওভারলোড ট্রাক সড়ক সুরক্ষার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। চালক ও তার সঙ্গীরা গার্ডের উপর আক্রমণ করে আইনের চরম লঙ্ঘন করেছে। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য দল গঠন করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর আরটিও কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, যখন কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিজের কর্তব্য পালন করে, তখন তার উপর আক্রমণ করা গুরুতর অপরাধ। তারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য স্থায়ী পুলিশ বাহিনীর দাবি জানিয়েছে, বিশেষ করে সেই সব এলাকায় যেখানে ভারী যানবাহনের চেকিং হয়।