ভোপালে হিন্দু ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন: ৬৪টি আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার

ভোপালে হিন্দু ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন: ৬৪টি আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার
সর্বশেষ আপডেট: 26-05-2025

ভোপালে ফরহান খান ও তার দলবল হিন্দু ছাত্রীদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে, ভিডিও তৈরি করেছে এবং ব্ল্যাকমেইল করেছে। পুলিশ তদন্তে ৬৪টি আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে।

এমপি নিউজ: ভোপালে সম্প্রতি উঠে আসা একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা মধ্যপ্রদেশে নারীদের নিরাপত্তা ও সামাজিক গঠন নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরেছে। প্রধান অভিযুক্ত ফরহান খান ও তার সহযোগীদের উপর অভিযোগ, তারা হিন্দু ছাত্রীদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তাদের যৌন নির্যাতন করেছে, ভিডিও তৈরি করেছে এবং তাদের ব্ল্যাকমেইল করেছে। এই ঘটনাটি শুধু অপরাধের গুরুতরত্বই প্রকাশ করে না, বরং সমাজে বিরাজমান ধর্মীয় ও সামাজিক উত্তেজনাও উন্মোচন করে।

ফরহান খান ও তার সহযোগীদের পরিকল্পনা

পুলিশ তদন্ত অনুসারে, ফরহান খান ও তার সহযোগীরা ভোপালের বিভিন্ন কলেজ, বিশেষ করে টিআইটি কলেজের হিন্দু ছাত্রীদের লক্ষ্য করেছে। তারা তাদের দামী উপহার ও বিলাসবহুল জিনিসপত্র দিয়ে তাদের ফাঁদে ফাঁসিয়েছে। এরপর, তাদের নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে তাদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছে এবং তাদের আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। এই ভিডিওগুলি ব্যবহার করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে এবং ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।

সংগঠিত অপরাধ: একটি পরিকল্পিত দলবল

এটি কোন একক ঘটনা ছিল না, বরং বছরের পর বছর ধরে একটি সংগঠিত দলবল দ্বারা পরিচালিত অপরাধ ছিল। ফরহানের বোন জোয়াও এই দলবলের সদস্য ছিল, যিনি মেয়েদের ফাঁদে ফেলতে এবং তাদের ভয় দেখাতে সাহায্য করতেন। যখন ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েরা ফরহান থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতো, তখন জোয়া তাদের ফোন করে মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করতো। যদি কোন মেয়ে প্রতিবাদ করতো, তাহলে তাকে হুমকি দেওয়া হতো যে তার ভিডিও ভাইরাল করা হবে।

সামাজিক ও ধর্মীয় দিক

এই ঘটনার আরও একটি উদ্বেগজনক দিক ছিল যে, অভিযুক্তরা মেয়েদের ইসলামের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা তাদের কালমা পড়তে, রোজা রাখতে এবং ইসলামী রীতিনীতি পালন করার জন্য উৎসাহিত করেছিল। এটি এক ধরণের মানসিক ও ধর্মীয় নির্যাতন ছিল, যা ক্ষতিগ্রস্তদের মানসিক অবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।

প্রশাসনিক অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলা

এই গুরুতর অপরাধ সত্ত্বেও, পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফরহানের বোন ও অন্যান্য সহযোগীদের এখনও অভিযুক্ত করা হয়নি। এছাড়াও, কলেজ প্রশাসনের উপর অভিযোগ আছে যে তারা এই ঘটনাগুলিকে উপেক্ষা করেছে এবং অভিযুক্তদের আশ্রয় দিয়েছে। এই প্রশাসনিক অনিয়ম সমাজে অপরাধীদের সাহস বৃদ্ধি করতে পারে।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিজ্ঞতা

ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েরা পুলিশকে বলেছে কিভাবে তাদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে, নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে, যৌন নির্যাতন করে এবং তারপর ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, মেয়েদের তাদের পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানসিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। এগুলি তাদের আত্মসম্মান ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর আঘাত হানে।

Leave a comment