ট্রাম্পের ট্যারিফ: ২০০৮-এর মতো সংকটের আশঙ্কা, বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা প্রয়োজন

ট্রাম্পের ট্যারিফ: ২০০৮-এর মতো সংকটের আশঙ্কা, বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা প্রয়োজন
সর্বশেষ আপডেট: 08-04-2025

ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতির ফলে বিশ্ববাজারে তীব্র আন্দোলন, ২০০৮ সালের মতো সংকটের আশঙ্কা। বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, প্রতিরক্ষামূলক খাতে মনোযোগ দেওয়া উচিত, FII-রা ব্যাপক বিক্রয় করছে।

ট্রাম্পের ট্যারিফ: ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্যারিফ আরোপ করার পর থেকে বিশ্ববাজারে তীব্র ধসের দেখা মিলেছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট এবং ২০২০ সালের মহামারীর মতো হতে পারে। ভারতীয় শেয়ার বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে—একদিনে ৪% এর বেশি অবনমন এবং পরে ১.৫% পুনরুদ্ধার বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়ের ফলে আন্দোলন

Foreign Institutional Investors (FIIs) মাত্র ৫টি ট্রেডিং সেশনে ইকুইটি বাজার থেকে ২২,৭৭০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে, Domestic Institutional Investors (DIIs) ১৭,৭৫৫ কোটি টাকা কিনেছে, যা কিছুটা ভারসাম্য বজায় রেখেছে।

কোন খাতগুলিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি

Nuvama Institutional Equities-এর প্রতিবেদনের মতে, ট্যারিফ যুদ্ধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে চক্রাকার খাতগুলিতে, যেমন—ধাতু, রিয়েল এস্টেট এবং শিল্প। এই খাতগুলিতে সবচেয়ে বেশি অবনমনের আশঙ্কা রয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা কোথায় মনোযোগ দেবেন

প্রতিবেদনে FMCG, সিমেন্ট এবং টেলিযোগাযোগের মতো খাতগুলিকে নিরাপদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে কারণ এগুলিকে প্রতিরক্ষামূলক বলে মনে করা হয় এবং ট্যারিফের প্রভাব সহ্য করতে পারে। এছাড়াও, ভারতীয় কোম্পানিগুলির শক্তিশালী ব্যালান্স শীট এবং RBI-এর সম্ভাব্য সহায়ক নীতি কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অবনমন

ট্রাম্পের ট্যারিফ ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে S&P 500 এবং কच्चा তেলের দাম প্রায় ১০% পতন ঘটেছে। অন্যদিকে, US High-Yield Bonds-এ স্প্রেড ৭৫-১০০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের এই ধরনের বিক্রয় ২০০৮ এবং ২০২০ সালের সংকটকালেই দেখা গিয়েছিল।

এটি কি ২০০৮ সালের মতো সংকট?

Nuvama-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এবারও শুরু হয়েছে আমেরিকা থেকে, কিন্তু পরিস্থিতি ২০০৮ সালের থেকে আলাদা। এবার আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে নীতি সমন্বয়ের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি, আমেরিকার ট্রেজারি এবং ফেডারেল রিজার্ভের মধ্যেও মতবিরোধ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য কৌশল

- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ খাত থেকে এখনই দূরত্ব বজায় রাখুন

- FMCG এবং টেলিযোগাযোগের মতো প্রতিরক্ষামূলক খাতে মনোযোগ দিন

- টাকার অবমূল্যায়ন বিবেচনা করে রপ্তানিমুখী কোম্পানিগুলিতে নজর রাখুন

- নতুন নীতি ঘোষণা পর্যন্ত ধৈর্য ধরুন

Leave a comment