ভারতীয় শেয়ার বাজার: ধীর শুরুর সম্ভাবনা, মূল্যস্ফীতি ও এয়ারটেল-SpaceX চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ

ভারতীয় শেয়ার বাজার: ধীর শুরুর সম্ভাবনা, মূল্যস্ফীতি ও এয়ারটেল-SpaceX চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ
সর্বশেষ আপডেট: 12-03-2025

বিশ্ববাজারের ইঙ্গিতের মধ্যে আজ ভারতীয় শেয়ার বাজারের ধীর শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি এবং IIP ডেটা গুরুত্বপূর্ণ হবে, অন্যদিকে ভারতী এয়ারটেল- SpaceX চুক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য ফোকাসে থাকবে।

শেয়ার বাজার আজ: ভারতীয় শেয়ার বাজার বুধবার (১২ মার্চ) বিশ্ববাজারের মিশ্র প্রবণতার মধ্যে ধীর শুরু করতে পারে। প্রধান বেঞ্চমার্ক সূচক সেনসেক্স (Sensex) এবং নিফটি-৫০ (Nifty) -এর প্রাথমিক লেনদেনে বেশি উত্থান দেখা যেতে পারে না। গিফ্ট নিফটি (Gift Nifty) -এর ইঙ্গিতও সমতল উদ্বোধনের দিকে ইঙ্গিত করছে।

গিফ্ট নিফটির ইঙ্গিত এবং বাজারের প্রাথমিক চাল

সকাল ৭:৪৫ টায় গিফ্ট নিফটি ৪ পয়েন্ট অর্থাৎ ০.০২% এর সামান্য হ্রাসের সাথে ২২,৫৫৭ এ লেনদেন করছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় বাজারও হালকা ধীরগতিতে খুলতে পারে।

মূল্যস্ফীতি এবং IIP ডেটা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি

আজ বাজারের চালকে প্রভাবিত করার প্রধান কারণ হবে ফেব্রুয়ারী মাসের খুচরা মূল্যস্ফীতি (CPI Inflation) এবং জানুয়ারীর শিল্প উৎপাদন (IIP) -এর তথ্য, যা আজ প্রকাশিত হবে।

এছাড়াও, আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (FIIs) ক্রমাগত বিক্রয় বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে।

ভারতী এয়ারটেলের শেয়ার আজ ফোকাসে থাকবে

ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) -এর শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ দৃষ্টি থাকবে, কারণ কোম্পানি ইলন মাস্কের SpaceX -এর সাথে একটি বড় চুক্তি করেছে।
এই চুক্তির অধীনে, এয়ারটেল ভারতে Starlink -এর উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করবে, যার ফলে কোম্পানি বড় লাভের আশা করছে।

এশীয় বাজারে মিশ্র প্রবণতা

বুধবার এশীয় বাজারে মিশ্র ইঙ্গিত দেখা গেছে। তবে, অধিকাংশ বাজারে উত্থান দেখা গেছে।

জাপানের নিক্কি সূচক প্রায় সমতল ছিল, তবে হালকা হ্রাসের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
টপিক্স সূচক ০.৬৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি ১.১৮% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ASX ২০০ সূচক ১.৬% হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে সেখানকার বিনিয়োগকারীরা ধাক্কা খেয়েছে।

আমেরিকান বাজারে ব্যাপক বিক্রয় অব্যাহত

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আমেরিকান শেয়ার বাজারে ক্রমাগত দ্বিতীয় দিন হ্রাস দেখা গেছে। আমেরিকান সরকারের অস্থির বাণিজ্য নীতি (trade policy flip-flop) বাজারের পাশাপাশি ভোক্তাদের আস্থাকেও দুর্বল করে দিয়েছে।

ডাও জোন্স প্রায় ৫০০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে গত দুই দিনে মোট ১,৪০০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে।
S&P ৫০০ ০.৮% হ্রাস পেয়েছে।
নাসডাক তুলনামূলকভাবে ভালো কর্মক্ষমতা দেখিয়ে মাত্র ০.২% হ্রাসের সাথে বন্ধ হয়েছে।

গতকাল ভারতীয় বাজারের অবস্থা কেমন ছিল?

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দেশীয় শেয়ার বাজারে উত্থান-পতনের লেনদেন দেখা গেছে।

BSE সেনসেক্স ৭৩,৭৪৩.৮৮ এ খোলা ছিল, যা দিনের মধ্যে ৭৪,১৯৫.১৭ এর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। অবশেষে এটি ১২.৮৫ পয়েন্ট (০.০২%) এর সামান্য হ্রাসের সাথে লাল চিহ্নে বন্ধ হয়েছে।
নিফটি-৫০ ২২,৩৪৫.৯৫ এ খোলা ছিল, যা ২২,৫২২.১০ এর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। অবশেষে এটি ৩৭.৬০ পয়েন্ট (০.১৭%) বৃদ্ধির সাথে ২২,৪৯৭.৯০ এ বন্ধ হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য কী কৌশলী হওয়া উচিত?

মূল্যস্ফীতি এবং IIP ডেটা আসা পর্যন্ত বাজারে অস্থিরতা থাকতে পারে।
ভারতী এয়ারটেলের শেয়ারে উত্তালতা সম্ভব, তাই বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বিশ্ববাজার থেকে ইঙ্গিত দুর্বল, তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
FIIs -এর বিক্রয়ের প্রবণতা নজরদারি করা জরুরি হবে, কারণ এটি বাজারের দিক নির্ধারণ করতে পারে।

Leave a comment