অপারেশন সিন্দুরের পর বিটকয়েনের দামে ঊর্ধ্বগতি

অপারেশন সিন্দুরের পর বিটকয়েনের দামে ঊর্ধ্বগতি
সর্বশেষ আপডেট: 07-05-2025

ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এর সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে হামলার পর বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির দামে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। বুধবার বিটকয়েনের দাম একদিনেই ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Bitcoin Cryptocurrency Price: বুধবার সকালে ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এর সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যার পর বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির দামে তীব্র ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত বিটকয়েনের দাম গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। CoinMarketCap-এর মতে, দুপুর ২টায় বিটকয়েনের দাম ছিল ৯৬,৯৬০.৯৫ ডলার, এবং লেনদেনের সময় এর দাম ৯৭,০০০ ডলারও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

সকাল প্রায় ৬:৩০ টায় বিটকয়েনের দাম ৯৭,০০০ ডলারের উপরে পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু এরপর ভারতের পাকিস্তানে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে দাম কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে, এই হামলার জন্য বিশ্বজুড়ে ভারতের প্রশংসা হওয়ার পর বিটকয়েনের দামে তীব্র ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয় এবং আবার ৯৭,০০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।

অপারেশন সিন্দুরের প্রভাব বিটকয়েনের দামের উপর

বিটকয়েনের দামে বুধবার যে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে তার মূল কারণ হল ভারতীয় সেনার অপারেশন সিন্দুরের পর বিটকয়েন বাজারে যে প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও PoK-এর অনেক সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার পর ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য এবং ভারতের এই কর্মকাণ্ডের সমর্থনে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বিটকয়েনের দামকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

CoinMarketCap-এর তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত বিটকয়েনের দাম ৩.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময় বিটকয়েনের দাম ছিল ৯৬,৯৬০.৯৫ ডলার এবং কিছুক্ষণের জন্য এটি ৯৭,০০০ ডলারেরও উপরে চলে গিয়েছিল।

আমেরিকার ভূমিকা এবং বাজারে প্রভাব

মঙ্গলবার বিটকয়েনের দামে ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছিল। এর মূল কারণ ছিল আমেরিকা ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সাথেই আলোচনা করেছিল। আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ়, এবং এতে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে এই পরিস্থিতি বেশ লজ্জাজনক। ট্রাম্পের বিবৃতি এবং আমেরিকা কর্তৃক উত্তেজনার পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টার পর বিটকয়েনের বিনিয়োগকারীরা এটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে, যার ফলে ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম আরও বেড়েছে।

বিটকয়েনের এক সপ্তাহের রিটার্ন

তবে, গত এক সপ্তাহে বিটকয়েনের দামে উত্থান-পতন দেখা গেছে। এই সময়কালে বিটকয়েনের রিটার্ন দুই শতাংশের কিছুটা বেশি ছিল, যার ফলে কিছু বিনিয়োগকারী উদ্বিগ্ন হয়েছে। কিন্তু এটাও দেখা গেছে যে বিটকয়েনের বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও দৃঢ় রয়েছে, বিশেষ করে এক মাসে বিটকয়েন তাদের ২৫ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে। এই রিটার্নের ফলে বিটকয়েন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা ভবিষ্যতে এটিকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে মনে করে এতে আরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করছে।

বিটকয়েনের দামের উত্থান-পতনের সবচেয়ে বড় কারণ হল আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ঘটনা এবং অর্থনৈতিক পরিবেশ। যদি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে, তাহলে বিটকয়েনে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু যদি আমেরিকা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তির প্রচেষ্টায় পরিস্থিতিতে উন্নতি হয় এবং উত্তেজনা কমে, তাহলে বিটকয়েনের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বিটকয়েনের দাম ১০০,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি লাভ করতে পারবে।

Leave a comment