২০২৫ সালের রমজান মাসের দশম রোজা আজ, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) পালিত হচ্ছে। এই দিনটি কেবল আর একটি উপবাস নয়, বরং রহমত ও বরকতের সমারোহ। এই সাথেই রমজানের প্রথম আশরা সমাপ্ত হবে, যা আল্লাহর রহমতের পরিপূর্ণ ছিল। ইসলামে রমজানকে আত্মসংযম, ইবাদত ও সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
প্রথম আশরা – রহমতের সময়কাল সমাপ্ত
রমজানকে তিনটি আশরায় ভাগ করা হয়, এবং প্রথম আশরা রহমতের আশরা নামে পরিচিত। দশম রোজার সাথে এই পর্যায় শেষ হচ্ছে এবং এখন ‘মাগফিরত’ (মুক্তি)র আশরা শুরু হবে। প্রথম দশ দিনকে আল্লাহর রহমত (কৃপা)র দিন বলা হয়, যেগুলিতে রোজাদারদের উপর বিশেষ মনোযোগ থাকে।
রোজা: ভক্তি ও সমতার প্রতীক
রমজানে রোজা কেবল ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করার নাম নয়, বরং আত্মসংযম, ভক্তি ও সমাজে সমতার শিক্ষা দেয়। এটি এমন সময়, যখন ধনী-দরিদ্র, মালিক-নোকর সকলে একসাথে আল্লাহর ইবাদতে নিযুক্ত হয়। এটি ভৌত বৈষম্য দূর করার এবং পরহেজগারির भावনাকে জোরদার করার মাস।
রহমত ও বরকতের পরিপূর্ণ দশম রোজা
পয়গম্বর মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "আল্লাহর কাছে ফজল ও ইনায়ত চাও, কারণ সে দানকারীদের পছন্দ করে।" এই দিক থেকে রমজানের এই পবিত্র মাসে রোজাদারদের আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকতের দোয়া করতে হবে।
এখন শুরু হবে মাগফিরতের আশরা
প্রথম আশরার পর রমজানের দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ ‘মাগফিরত’ (মুক্তি)র আশরা শুরু হবে, যেখানে রোজাদাররা আল্লাহর কাছে তাদের পাপের ক্ষমা প্রার্থনা করে। এই পর্যায়কে আত্মশুদ্ধি ও অন্তরের পবিত্রতার সময় বলে মনে করা হয়। রমজানের দশম রোজা রহমত ও বরকতের সমারোহ, যা প্রথম আশরার সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়। এখন রোজাদাররা মাগফিরতের আশরায় প্রবেশ করবে এবং আল্লাহর কাছে পাপের ক্ষমা প্রার্থনা করবে।