আজকের ডিজিটাল যুগে গুগল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। যেকোনো তথ্য জানার জন্য কিংবা কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য মানুষ সরাসরি গুগলের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু জানেন কি, গুগলে করা প্রতিটি অনুসন্ধান ট্র্যাক করা হয়? হ্যাঁ, কিছু অনুসন্ধান এমনও আছে যা করলে আপনি আইনী ঝামেলায় পড়তে পারেন। সুরক্ষা সংস্থাগুলি এ ধরনের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেয় এবং প্রয়োজন হলে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কি ধরণের অনুসন্ধান থেকে বিরত থাকা উচিত
গুগলে বোমা বা অস্ত্র তৈরির তথ্য খোঁজা, ড্রাগস সম্পর্কিত তথ্য নেওয়া, ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করা অথবা শিশুদের সাথে সম্পর্কিত আপত্তিকর কন্টেন্ট অনুসন্ধান করা—এগুলি সব গুরুতর অপরাধের আওতায় পড়ে। অনেক সময় মানুষ মজা বা কৌতূহলবশত এ ধরনের অনুসন্ধান করে বসে, কিন্তু সুরক্ষা সংস্থাগুলি তা হালকাভাবে নেয় না। এ ধরনের অনুসন্ধান কার্যকলাপকে সন্দেহজনক মনে করে সাইবার ক্রাইম সেল অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে পারে।
গুগল আপনার প্রতিটি কাজের উপর নজর রাখে
অনেক লোক জানে না যে গুগলে করা প্রতিটি অনুসন্ধান, আপনার অবস্থান, ব্রাউজিং ইতিহাস এবং এমনকি আপনার ডিভাইসের তথ্যও রেকর্ড করা হয়। সুরক্ষা সংস্থাগুলি সময় সময় এই ডেটা বিশ্লেষণ করে, বিশেষ করে যখন কোন ব্যক্তি অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ করে বলে মনে হয়। এই প্রক্রিয়ায় যদি আপনার অনুসন্ধান ইতিহাসে আপত্তিকর বা অবৈধ বিষয়বস্তু পাওয়া যায়, তাহলে পুলিশ সরাসরি আপনার বাড়িতে পৌঁছে যেতে পারে।
আইনগত বিধান এবং শাস্তি
ভারতে আইটি আইন ২০০০ এবং অন্যান্য সাইবার আইন অনুসারে এই ধরনের ডিজিটাল কার্যকলাপ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এ ধরনের ঘটনায় ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করা যায়। এই অপরাধের জন্য অর্থদণ্ড এবং কারাদণ্ডও হতে পারে। তাই অত্যন্ত জরুরি যে গুগল বা যেকোনো অনুসন্ধান প্লাটফর্ম ব্যবহার সতর্কতার সাথে করা উচিত এবং যেকোনো ধরণের অবৈধ তথ্য অনুসন্ধান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
গুগলে করা একটি ভুল আপনাকে বড় ঝামেলায় ফেলতে পারে। তাই পরবর্তী বার যখন আপনি কিছু অনুসন্ধান করতে যাবেন, তখন অবশ্যই ভাবুন যে আপনার কৌতূহল কি আপনাকে অপরাধের পথে নিয়ে যাচ্ছে কি না।
