চৈত্র পূর্ণিমা ও হনুমান জয়ন্তী: ২০২৫ সালের বিশেষ সংযোগ

চৈত্র পূর্ণিমা ও হনুমান জয়ন্তী: ২০২৫ সালের বিশেষ সংযোগ
সর্বশেষ আপডেট: 09-04-2025

চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথি এবার একটি বিশেষ সংযোগ নিয়ে আসছে। ১২ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে চৈত্র পূর্ণিমার পবিত্র উৎসব পালিত হবে, যা হিন্দু ধর্মে আধ্যাত্মিক এবং পুণ্যদায়ক তিথি হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ ব্যাপার হল, এই দিনেই হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালিত হবে, যার ফলে এই দিন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

কবে চৈত্র পূর্ণিমা? জেনে নিন সঠিক তিথি ও মুহূর্ত

বৈদিক পঞ্জিকার মতে, পূর্ণিমা তিথির সূচনা ১২ এপ্রিল রাত ০৩:২১ টা থেকে শুরু হচ্ছে এবং ১৩ এপ্রিল সকাল ০৫:৫১ টা পর্যন্ত চলবে। কিন্তু যেহেতু হিন্দু ধর্মে সূর্যোদয়ের গুরুত্ব অপরিসীম, তাই চৈত্র পূর্ণিমা ব্রত ও পূজা ১২ এপ্রিলই মেনে নেওয়া হবে।

ব্রহ্ম মুহূর্ত: ০৪:২৯ AM – ০৫:১৪ AM
বিজয় মুহূর্ত: ০২:৩০ PM – ০৩:২১ PM
গোধূলি মুহূর্ত: ০৬:৪৪ PM – ০৭:০৬ PM
নিশিতা কাল: ১১:৫৯ PM – ১২:৪৪ AM

ধন লাভ ও সুখ-শান্তির জন্য করুন এই উপায়

চৈত্র পূর্ণিমার দিন ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পূজা বিশেষ ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই দিন হলুদ বস্ত্র পরিধান করে ভগবানকে খির, ফল ও পঞ্চামৃতের ভোগ নিবেদন করুন। 'ॐ লক্ষ্ম্যৈ নমঃ' এবং 'ॐ বিষ্ণুবে নমঃ' মন্ত্রের জপ ১০৮ বার করুন। বিশ্বাস করা হয়, এতে ঘরে সমৃদ্ধি আসে এবং আর্থিক সংকট দূর হয়। যদি আপনি মানসিক চাপে ভোগেন, তাহলে চৈত্র পূর্ণিমার রাতে ভগবান শিবের রুদ্রাভিষেক করুন। কাঁচা দুধ, গঙ্গাজল ও মধু দিয়ে অভিষেক করার সময় 'ॐ নমঃ শিবায়' মন্ত্রের জপ করুন। এতে মানসিক শান্তি লাভ হয় এবং নেতিবাচকতা দূর হয়।

পবিত্র নদীতে স্নানের গুরুত্ব

এই দিন গঙ্গা, যমুনা অথবা যেকোনো পবিত্র নদীতে স্নান করা অত্যন্ত পুণ্যকর বলে মনে করা হয়। স্নানের পর দীপদান করুন এবং দরিদ্রদের অন্ন, বস্ত্র ও দক্ষিণা দান করুন। এই বছর চৈত্র পূর্ণিমায় হনুমান জন্মোৎসবও পালিত হচ্ছে, যা বজরঙ্গবলীর ভক্তদের জন্য বিশেষ দিন। এই দিন হনুমানজির কাছে সিঁদুর, চোলা ও বুন্দির ভোগ নিবেদন করুন এবং হনুমান চালিসার পাঠ করুন। বিশ্বাস করা হয়, এতে রোগ, শোক, ভয় ও বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

Leave a comment