ভারতীয় প্যারা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা ষষ্ঠ ফাজ্জা প্যারা ব্যাডমিন্টন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চমৎকার পারফর্ম্যান্স করে মোট ১৯টি পদক জিতেছে। এই পদকগুলির মধ্যে রয়েছে একটি স্বর্ণ, চারটি রৌপ্য এবং ১৪টি ব্রোঞ্জ পদক।
খেলাধুলার খবর: ভারতের প্যারা ব্যাডমিন্টন তারকারা ষষ্ঠ ফাজ্জা প্যারা ব্যাডমিন্টন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ২০২৫-এ অসাধারণ পারফর্ম্যান্স করে একটি স্বর্ণ, চারটি রৌপ্য এবং ১৪টি ব্রোঞ্জ পদকসহ মোট ১৯টি পদক জিতেছে। এই সাফল্য আবারও প্রমাণ করেছে যে ভারত প্যারা খেলাধুলার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নিজের অবস্থান দৃঢ় করছে।
শিবরাজন ও সুদর্শনের জুটি অর্জন করেছে একমাত্র স্বর্ণপদক
টুর্নামেন্টে ভারতের জন্য একমাত্র স্বর্ণপদক জিতেছে পুরুষ যুগল এসএইচ৬ বিভাগে শিবরাজন সোলাইমলাই ও সুদর্শন সরবণকুমার মুথুসামির জুটি। এই জুটি ফাইনালে হংকংয়ের শীর্ষ স্থানীয় চু মান কাই ও ওং চুন ইমের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল, কিন্তু হংকং দল ওয়াকওভার দিয়ে দেয়, ফলে ভারত স্বর্ণপদক পায়। এই জয় ভারতীয় দলের জন্য মনোবল বৃদ্ধি করেছে।
রৌপ্য রেখা: উমেশ বিক্রম কুমার ও যুব জুটির চমৎকার লড়াই
অনুভূত উমেশ বিক্রম কুমার চমৎকার খেলা প্রদর্শন করে দুটি রৌপ্য পদক ভারতের ঝুলিতে ফেলে দিয়েছেন। তিনি এসএল৩ একক বিভাগে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছেন, কিন্তু শিরোপা জেতার থেকে কিছুটা ছিটকে গেছেন। এছাড়াও তিনি পুরুষ যুগল বিভাগেও দারুণ খেলে আরও একটি রৌপ্য পদক জিতেছেন। অন্যদিকে হার্দিক মক্কড় ও রুথিক রঘুপতির জুটি এসইউ৫ যুগল ফাইনালে মালয়েশিয়ার অভিজ্ঞ জুটি চিহ লাইক হো ও মুহাম্মদ ফরিজ আনওয়ারের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করেছে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে হেরে রৌপ্য পদকে সন্তুষ্ট হতে হয়েছে।
ব্রোঞ্জের আভাস: কৃষ্ণা নাগরসহ অনেক খেলোয়াড়ের উল্লেখযোগ্য অবদান
টোকিও প্যারালিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কৃষ্ণা নাগর এবার ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। তিনি এসএইচ৬ একক বিভাগের সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ভিটোর ট্যাভারেসের কাছে হেরেছেন। ম্যাচের পর তিনি তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, এই পদক সেই সাহসী জওয়ানদের উৎসর্গ করা হচ্ছে যারা দেশের সীমান্ত রক্ষা করছে। তাদের বীরত্ব আমাকে কোর্টে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।
এছাড়াও ভারতের আরও অনেক খেলোয়াড় বিভিন্ন বিভাগে চমৎকার খেলা প্রদর্শন করে ১৪টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। এদের মধ্যে নারী ও পুরুষ উভয় একক ও যুগল বিভাগে অনেক নতুন প্রতিভাও তাদের দক্ষতা দেখিয়েছে।
ভারতীয় প্যারা ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়দের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, ফিজিওথেরাপি এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলাফল এখন স্পষ্ট হচ্ছে। ২০২৪ সালের প্যারালিম্পিকের পর থেকে খেলোয়াড়দের মধ্যে ধারাবাহিকতা ও আত্মশৃঙ্খলা বেড়েছে, যার প্রভাব এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে দেখা গেছে।