কटकের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে অজেয় অগ্রণী অর্জন করেছে ভারত। এই জয়ে দলনেতা রোহিত শর্মা এবং উপ-দলনেতা শুভমন গিলের অসাধারণ পারফর্মেন্স দৃষ্টিনন্দন ছিল। রোহিত শর্মার শতরানের ইনিংস ভারতীয় দলের জন্য বড় স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খেলাধুলার খবর: কटकের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে চার উইকেটে পরাজিত করে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে অজেয় অগ্রণী অর্জন করেছে ভারত। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৯.৫ ওভারে ৩০৪ রান তোলে। ভারত ৪৪.৩ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে এই লক্ষ্য অর্জন করে। দলনেতা রোহিত শর্মা এই জয়ের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন, যিনি ৯০ বলে ১২টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ১১৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন।
এই শতকটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৬ মাস পরে এসেছে। এর আগে ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ১৩১ রান করেছিলেন। উপ-দলনেতা শুভমন গিল ৫২ বলে ৬০ রান করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
ভারতের দলনেতা ও উপ-দলনেতার অসাধারণ ইনিংস
৩০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজ ছিল না, কিন্তু ভারতীয় দল অসাধারণ পারফর্মেন্স করে ৪৪.৩ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে তা অর্জন করে। দলনেতা রোহিত শর্মা এবং উপ-দলনেতা শুভমন গিল দলকে শক্তিশালী শুরু দেন। রোহিত ৯০ বলে ১১৯ রানের শতরানের ইনিংস খেলেন, যাতে ১২টি চার এবং ৭টি ছক্কা ছিল। গিল ৫২ বলে ৬০ রান করেন। উভয়েই ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর আক্রমণ চালিয়ে ভারতকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান।
তবে, ১৩৬ রানের সংগ্রহে গিল জেমি ওভারটনের অসাধারণ ইয়র্কারে বোল্ড হন। এরপর বিরাট কোহলি মাঠে নামেন, কিন্তু মাত্র ৫ রান করে আদিল রশিদের বলে ক্যাচ আউট হন। রোহিত ২৬তম ওভারে রশিদের বলে ছক্কা মেরে তার শতক পূর্ণ করেন, কিন্তু শীঘ্রই লিয়াম লিভিংস্টনের বলে তারও ইনিংসের অবসান ঘটে। শ্রেয়স আয়ার ৪৪ রানের ভালো ইনিংস খেলেন কিন্তু রান আউট হন। অক্ষর প্যাটেল এবং রবিচন্দ্রন জাদেজা সংযত ব্যাটিং করে ভারতকে জয় এনে দেন। প্যাটেল অপরাজিত ৪১ রান করেন, এবং জাদেজা ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইংল্যান্ডের বিশাল রান সংগ্রহ
ইংল্যান্ডের দলনেতা জোস বটলার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু এটিই ছিল তাঁর একমাত্র জয়। ইংল্যান্ডকে বেন ডাকেট এবং ফিল সল্ট দ্রুত শুরু দেন। উভয়ে প্রথম উইকেটের জন্য ১০.৫ ওভারে ৮১ রান যোগ করেন। ডেব্যুকারী বরুণ চক্রবর্তী সল্টকে রবিচন্দ্রন জাদেজার হাতে ক্যাচ করিয়ে এই জুটি ভাঙেন।
ডাকেট অর্ধশতক পূর্ণ করেন এবং ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন, কিন্তু জাদেজা তাকে পান্ড্যার হাতে ক্যাচ আউট করান। এরপর জো রুট হ্যারি ব্রুকের সাথে জুটি গঠন করে ইনিংস সামালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু হর্ষিত রাণা গিলের অসাধারণ ক্যাচের সাহায্যে ব্রুককে আউট করেন। দলনেতা বটলারও পান্ড্যার বলে ৩৪ রান করে আউট হন।
রুট টিকে ছিলেন, কিন্তু রোহিত শর্মা জাদেজাকে ফিরিয়ে আনেন যিনি কোহলীর হাতে রুটকে ক্যাচ আউট করান। রুট ১৩তম বারের মতো জাদেজার শিকার হন। শেষ ওভারগুলিতে লিয়াম লিভিংস্টন ৪১ রান করে ইংল্যান্ডকে ৩০০ রানের বেশি পৌঁছাতে সাহায্য করেন। লিভিংস্টন এবং মার্ক উড উভয়েই রান আউট হয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে ৩০৪ রানে সীমাবদ্ধ রাখেন। ভারতের হয়ে জাদেজা অসাধারণ বোলিং করে তিন উইকেট নেন, এবং শর্মা, পান্ড্যা, রাণা এবং বরুণ এক এক উইকেট পান। অক্ষর প্যাটেল এই ম্যাচে উইকেটহীন ছিলেন।